• বুধবার   ২৯ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪২৯

  • || ০৫ রমজান ১৪৪৪

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
আট দিনের সফরে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি রমজানে আন্দোলন থেকে জনগণকে নিস্তার দিন, বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছায় বাইডেন বললেন ‘জয় বাংলা’ অস্বাভাবিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে কিছু লোকের কদর বাড়ে: প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলবো স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা পার্টি না করে গরিবদের ইফতার সামগ্রী দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

পদ্মাসেতু হওয়ায় ব্যাপারী বেড়েছে স্বরূপকাঠির পেয়ারা বাগানে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২  

পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় স্বরূপকাঠি উপজেলার আটঘর-কুড়িআনার পেয়ারা বাগানে বেপারীর সংখ্যা বেড়েছে। পেয়ারাচাষী ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঢাকায় পেয়ারা পাঠাতে এখন আর পচে যাওয়ার ভয় নেই। আগে যেখানে পিরোজপুর থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগত ছয়-সাত ঘণ্টা। জ্যাম ও ঘাটে অপেক্ষায় থেকে পেয়ারা নষ্টের আশঙ্কা তৈরি হতো। নৌ-পথেও সময় লাগত ১২-১৬ ঘণ্টা। এখন তিন-চার ঘণ্টায় পৌঁছানো যাচ্ছে ঢাকায়। ফলে পাইকারি ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পিরোজপুরের পেয়ারা। শুধু পেয়ারা নয়, আমড়া, কলাসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনেও সময় কম লাগায় বাড়ছে কেনাবেচা।

পিরোজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের ছয় লাখ কৃষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লাভবান হবেন পেয়ারা চাষে। জেলায় প্রধান ফসল ধানের পরে রয়েছে পেয়ারা, আমড়া ও কলা। এর মধ্যে পেয়ারার চাষ বেশি হয় স্বরূপকাঠিতে।

স্বরূপকাঠি উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রক্তিম কুমার ঘরামী বলেন, স্বরূপকাঠির দুই হাজার পরিবার পেয়ারা চাষে জড়িত। এছাড়া বরিশালের বানারীপাড়া ও ঝালকাঠির বেশকিছু এলাকার লোক পেয়ারা চাষে জড়িত। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, বর্তমানে স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ২৫টির মতো বাগান রয়েছে।  এ বাগানে প্রতি বছরই ৫-৬ কোটি টাকার পেয়ারা উৎপাদিত হয়। এতদিন যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় প্রতি মণ পেয়ারা ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। চাষীরা মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে পেয়ারা যাত্রীবাহী লঞ্চে বা ট্রলারে করে ঢাকা পাঠাতেন। এতে যেমন সময় লাগত ১২-১৬ ঘণ্টা, তেমনি তরতাজা ফলটিও অনেক সময় পেকে যেত বা পচে যেত। পদ্মা সেতুর কারণে সড়কপথেই সরাসরি চাষীরা দ্রুত পচনশীল এ পণ্যটি ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অন্য এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন। সড়ক পথে তাদের খরচও কম হচ্ছে।

স্বরূপকাঠি উপজেলার কুরিয়ানা ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার বলেন, এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ টাটকা পেয়ারা খেতে পারবে। সব মানুষ ঝক্কিঝামেলা ছাড়া সহজেই পেয়ারা বাগানে ঘুরতে আসতে পারবে। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, পেয়ারা বাগানে ঘুরতে এসেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত, ভারতের রাষ্ট্রদূত, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি পর্যটক।

পিরোজপুরের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর কৃষি খাতের উদ্যোক্তাও বাড়বে। এতে পেয়ারা, আমড়াসহ কৃষিপণ্যের ভালো দাম পাবেন চাষিরা।