• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী নাশকতার ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার দাবি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের ধারণা ছিল একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে: প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মার জন্য তাৎপর্যময় ও শোকের দিন

মঠবাড়িয়ায় দখল হওয়া জেলা পরিষদের জমি শিঘ্রই উদ্ধার শুরু হবে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২৩  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খানম বলেছেন, অবৈধ ভাবে দখল হয়ে যাওয়া জেলা পরিষদের জমি উদ্ধারের শিঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিসিআরকৃত জমি যাচাই করা হবে। ডিসিআর থাকলেও পাকা স্থাপণা করার সুযোগ নেই। কেউ অবৈধ স্থাপণা করলে শিঘ্রই তা ভেঙে দেয়া হবে।

জানা গেছে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জেলা পরিষদের কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে নির্বিঘেœ পাকা স্থাপণা ও বহুতল ভবন নির্মণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। তবে এসকল জমি দখলের নেপথ্যে সহযোগিতা করার গুঞ্জন রয়েছে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার উৎপল কুমার ও উচ্চমান সহকারি বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার ৯নং সাপলেজা ইউনিয়ন বাজারের আলিশ্যার মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে জেলা পরিষদের জমিতে মজবুদ পাইলিং দিয়ে অর্ধশতাধিক পাকা স্থাপণা ও বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং বহু স্থাপণার কাজ চলমান রয়েছে। এদের সাথে কথা বলতে গেলে দাম্ভিগতা দেখিয়ে কথা বলা তো দুরের কথা, নামও বলতে চায়নি। তবে প্রবাসি জাকির হোসেনর স্ত্রী তানিয়া, মামুন হাওলাদারের স্ত্রী হাফিজা বেগম জানান জেলা পরিষদ থেকে তারা ডিসিআর নিয়েছেন। ডিসিআরকৃত জমিতে বহুতল ভবনের অনুমতি কি জেলা পরিষদ দিয়েছেন ? এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা বজলুর রহমান ও উৎপল কুমার মাঝে-মাঝে আসেন তারা সব জানে। প্রবাসি জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী কোন কথা বলতে বা মন্তব্য করতে রাজি হন নি।

সচেতন মহল মনে করেন, এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ, রাজনৈতিক প্রভাব ও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে সরকারি সম্পত্তি প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে। বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজেও জানেন না পরিষদের সম্পদের পরিমাণ কত।

এব্যপারে জেলা পরিষদ উচ্চমান সহকারি বজলুর রহমান জোগসাজগের কথা অস্বীকার করে বলেন, একবার নিষেধ করে আসছি। আবার কাজ শুরু করলে নোটিশ দেযার ব্যবস্থা করবো। আমার কোন বক্তব্য ব্যবহার করবেন না। সার্ভেয়ারের সাথে কথা বলুন।

জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার উৎপল কুমার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সোমবার (৯ জানুয়ারী) সরেজমিনে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করবো।