• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

যশোরে যুবদলের কমিটি নিয়ে ফেসবুকে হাসির খোরাক

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২১  

যশোরের চৌগাছা উপজেলা ও পৌর যুবদলের দুটি আহবায়ক কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। যশোর জেলা কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও সহ-সভাপতি স্বাক্ষরিত এই কমিটিতে দেখা গেছে চৌগাছা পৌর আহবায়ক কমিটিতে ১২ জন যুগ্ম আহবায়ক ও ১৭ জনকে সদস্য করা হয়েছে। 

৩১ সদস্যের এই কমিটিতে আজিজুর রহমান নামে একজনকে ১১ নম্বর ক্রমিকে যুগ্ম আহবায়কের পাশাপাশি ১৯ ও ২৯ নম্বর ক্রমিকে দুইবার সদস্য পদে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। তবে প্রবল সমালোচনার মুখে রাতেই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে বলে বিভিন্নজন তাদের ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন। 

জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর যশোরের ১৫টি উপজেলা ও পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। এরপর ২ অক্টোবর রাতে বিভিন্ন ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতেও তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। দলীয় কোন্দলের আভাস পাওয়া যায়।

শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চৌগাছা উপজেলা কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির পদ পাওয়া যশোর জেলা বারের আইনজীবী আলী বুদ্দিন খান নিজের ফেসবুকে চৌগাছা উপজেলা ও পৌর যুবদলের দুটি আহবায়ক কমিটি পোস্ট করেন। যশোর জেলা যুবদলের প্যাডে এবং জেলা যুবদলের সভাপতি, সম্পাদক ও সহ-সভাপতি স্বাক্ষরিত চৌগাছা উপজেলা আহবায়ক কমিটিতে ৩৩ জন এবং পৌর কমিটিতে ৩১ জনকে পদ দেয়া হয়। 

 

 

সেখানে দেখা যায় পৌর কমিটিতে আজিজুর রহমানকে ১১ নম্বর ক্রমিকে যুগ্ম সম্পাদক এবং একই ব্যক্তিকে ১৯ ও ২৯ নম্বর ক্রমিকে সদস্য পদে পদায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন ব্যক্তি তখনই ফেসবুকে হাসিরসাত্মকভাবে পোস্ট করেন।

এদিকে উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটির অধিকাংশ পদ পাওয়া ব্যক্তিকেই চেনেন না বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা উপজেলা বা পৌর যুবদলে পদ পদবী পেতে ইচ্ছুকরা। তাদের দাবি ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির মতো যুবদলের আহবায়ক কমিটিতেও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে।
 
কমিটি পোস্ট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তারেক জিয়া পরিষদের উপজেলা আহবায়ক ও যুবদলের পদ প্রত্যাশী তৌহিদুর রহমান উজ্জ্বল তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ‘রাজনীতির নাম আর কোনোদিন মুখে নেব না’। অবশ্য কিছুক্ষণ পরে তিনি নিজের স্ট্যাটাস সরিয়ে নিয়ে স্ট্যাটাস দেন ‘কতটুকু তেল মারলে ও চামচামি করলে একই ব্যক্তি ৩টি পদে যেতে পারে খুব জানতে ইচ্ছে করছে।’ 

পদপদবী পেতে ইচ্ছুক কয়েকজন নেতা জানান, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির যশোরের এক নেতার ইচ্ছাতেই তার গ্রুপের অনুসারী হওয়ায় রাজনীতিতে সক্রিয় নন, অপরিচিত তাদের এভাবে কমিটিতে আনা হয়েছে।’

 

 

চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি দেয়া হয়েছে। আবার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকায় স্থগিতও করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি এম. তমাল আহমেদ বলেন, আমরাও এমনটি শুনছি। তবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত স্থগিত এটা বলতে পারছিনা বা কমিটি ঘোষণা এটাও বলতে পারছিনা। 

পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, নতুন-পুরনো সংমিশ্রণে এ কমিটি করা হয়েছে। একজনকে তিন পদে পদায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা প্রিন্টিং মিসটেক। এক সঙ্গে ১৫-১৬টা কমিটি করতে গিয়ে এই ভুল হয়েছে।