• শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৬ ১৪৩০

  • || ১৯ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

সাইবার সন্ত্রাসীদের নিয়ে তারেকের ‘নতুন মিশন’

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২১  

মাঠের রাজনীতিতে নেই বিন্দুমাত্র আগ্রহ। তবে প্রচার-প্রচারণা ও গুজব প্রচারের জন্য অনলাইনে বিশাল অর্থ ব্যয় করছেন লন্ডনে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, লন্ডনে তারেক রহমান বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপার্জনহীন হলেও তিনি পদ, কমিটি মনোনয়ন ও দলের তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীদের থেকেও পান নিয়মিত ‘মাসিক চাঁদা’। 

এমনকি উৎসব-পার্বণ এলে ডোনারদের থেকে পান মোটা অংকের অর্থ। এভাবেই চলছে তার রাজকীয় জীবন। একই সঙ্গে দেশকে পিছিয়ে নেয়ারও ষড়যন্ত্রও সমান তালে চালিয়ে নিচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি ‘পেইড’ সাইবার সন্ত্রাসীদের নিয়ে ‘নতুন মিশনে’ নেমেছেন বলে বিশ্বস্ত কয়েকটি সূত্রে নিশ্চিত করেছে।

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অশুভ প্রয়াস নিয়ে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি ও জামায়াত চক্র। 

দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র করার উদ্দেশ্যে তারা বিশাল অর্থ ব্যয়ে ভাড়া করেছে সাইবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যাদের মধ্যে আছে বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধের মামলায় আসামি হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করা মুখোশধারী ও ভুঁইফোড় কিছু সাংবাদিক। এদের মূল কাজই হচ্ছে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ব্লগ, সস্তা অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পরিবার, সরকার, বিচার বিভাগ ও দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালানো। যুদ্ধাপরাধী ও আগুনসন্ত্রাসের এ সিন্ডিকেটটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আর এ খবর পাওয়ার পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চক্রটির ভুঁইফোড় পণ্ডিতরা। যাদের পেছনে প্রধান ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে দেশের বাইরে থাকা এক ডজন শীর্ষ সাইবার সন্ত্রাসীর নাম জানা গেছে। এরা হলেন- সুইডেন প্রবাসী ও নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, কানাডা প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত শহীদ উদ্দিন খান, কানাডা প্রবাসী শহীদ ইসলাম, খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস ও বিসিএস ’৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপনে থাকা মোহাম্মদ শামসুল আলম, শিবির ক্যাডার ও কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিব, কানাডা প্রবাসী কথিত ব্যারিস্টার এম রহমান মাসুম, কানাডা প্রবাসী কথিত সাংবাদিক ও ইউটিউব-ফেসবুকভিত্তিক ভুঁইফোড় চ্যানেল নাগরিক টিভির সিইও টিটো রহমান, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলার আসামি হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করা সাংবাদিক কনক সারোয়ার, রাজাকারের সন্তান দাবিদার ও চাঁদাবাজির মামলায় আসামি হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে যুক্তরাজ্যে আত্মগোপন করা প্রতারক সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর।

এসব ব্যক্তিরা যে বিদেশের মাটিতে বসে দেশ ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত, তার অসংখ্য প্রমাণ এরই মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসে পৌঁছেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়ে অবহিত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পলাতক বিএনপি নেতা, সাংবাদিক ও যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারের সন্তান এবং বংশধররা লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বসে দেশ বিরোধী মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। আর এর মাধ্যমে উপার্জন করছে মোটা অংকের অর্থ। যার যোগানদাতা তারেক রহমান গং। কোথায় পাচ্ছেন তারা এতো টাকা? আর উৎসই বা কী, তা বেরিয়ে আসবে অচিরেই। বেরিয়ে আসবে থলের বিড়ালও। কারণ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।