• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বিদেশ পাঠাতে নোংরা কৌশল: মৃত নারীকে খালেদা সাজালো বিএনপি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২১  

বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং তারেক রহমানের সাইবার টিম বিভিন্ন ফেসবুক আইডি, পেজ থেকে হাসপাতালের বেডে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থাসহ শুয়ে থাকা এক নারীর ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘‘ভয়ঙ্কর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রিয় নেত্রী’’। যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। যা একটি নিরেট গুজব। ফেসবুকে পোস্টটি ভাইরালও করেছে তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সত্য-মিথ্যা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ‘বুম বাংলাদেশ’ নিশ্চিত করেছে, এই ভাইরাল ছবিটি ‘সামসাদ বেগম’ নামের এক নারীর। যিনি গত ফেব্রুয়ারিতে মারা গেছেন। তারা প্রামাণ করেছেন, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি বলে প্রচার করা ছবিটি খালেদা জিয়ার নয়।

ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি খালেদা জিয়ার নয়। রিভার্স ইমেজ সার্চিং টুল ব্যবহার করে ছবিটি এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একাধিক ফেসবুক পেজ ও ব্যক্তিগত প্রোফাইলে পোস্ট করতে দেখা গেছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘Mou Samara’ নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক পেজে আলোচ্য ছবিটি পাওয়া গেছে। তিনটি ছবিসহ পোস্টটিতে বলা হয়, তার মা অসুস্থ এবং তাকে দেখতে আসেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। অর্থাৎ, ছবিটি ‘মৌ সামারা’ নামের সেই নারীর মায়ের ছবি বলে সেই পোস্টে দাবি করা হয়েছে।

এছাড়া ছবিটি ‘Jalal Uddin wasim’ নামের আরেকটি ফেসবুক আইডিতে খুঁজে পেয়েছে বুম বাংলাদেশ। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সেই ছবিটি আরো বেশ কিছু ছবির সাথে পোষ্ট করা হয়।

পরবর্তীতে জালাল উদ্দিন ওয়াসিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিশ্চিত করেন, এটি তার মায়ের ছবি। তিনি আরো বলেন, তার মা সামসাদ বেগম গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে মারা গেছেন। ভাইরাল এই ছবিটি মূলত তার মৃত্যুর আগে ধারণ করা হয়।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক অসুস্থতার খবরের সাথে ভিন্ন মৃত ব্যক্তির ছবি যুক্ত করে পোস্ট করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করার জন্যই খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চায়। সেজন্যই তাদের নেত্রীর জীবন-মরণ নিয়ে অপরাজনীতি করছে তারা। এই দলের নেতাকর্মীরা একজন মৃত মানুষকে তাদের নেত্রী বলে চালিয়ে দিয়েছে। তবুও তাদের মধ্যে কোনো ধরনের সংকোচ কাজ করছে না। আর এ কারণেই জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছে।