• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

নড়বড়ে ঐক্যফ্রন্টে স্বস্তি ফেরাতে মরিয়া বিএনপি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২২  

নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অবস্থা এখন বিএনপির মতোই নড়বড়ে। এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে স্বস্তি ফেরাতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। তবে ফ্রন্টের নেতারা বলছেন, জোটের স্বস্তি ফেরানো সহজ হবে না। যদি না আগে তারা(বিএনপি) নিজেরা শুধরায়।

জোটের ভেতরে সৃষ্ট অস্বস্তির রেশ ধরে সম্প্রতি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব একটি বিশেষ বৈঠক ডাকলেও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার অসম্মতিতে সেটি বাতিল হয়ে যায়। 

বিষয়টি নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, আগে বিএনপিকে ঠিক হতে হবে। জোটের ভেতর সৃষ্ট অস্বস্তি কাটাতে বিএনপির উদ্যোগ কতখানি ফলপ্রসূ হবে, তা নির্ভর করছে দলটির কাছ থেকে কিছু জিজ্ঞাসার ‘উত্তরপ্রাপ্তি’র ওপর।

সম্মিলিত বৈঠকের আগে বিএনপি যদি শরিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে একত্রিত হতেন তাহলে বিষয়টি ভালো হতো। কেননা, বিভিন্ন ইস্যুতে জোটের নেতাদের মধ্যে নানা জিজ্ঞাসা তৈরি হলেও তার সদুত্তর দেওয়া বা সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার কোনো চেষ্টাই করেনি বিএনপি। বরং বিষয়গুলোকে এড়িয়ে গেছে বলে মনে করছে শরিক নেতারা।

খোদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যও বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বকে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। আর দলটির নেতাদের উচিত এসব প্রশ্নের পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া। এক্ষেত্রে বর্ধিত সভা ডেকে সবার অভিমত নিয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা যেতে পারে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে এবং দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এর আগে দল হিসেবে রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে হবে। 

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক নেতা জানান, অন্তত কয়েকটি প্রশ্নের ব্যাখ্যা আগে বিএনপিকে দিতে হবে। এসব প্রশ্নের উত্তর না পেলে ঐক্যফ্রন্ট থাকা আর না থাকা একই সমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শরিক দলের বেশ কয়েকজন নেতা একইরকম মতবাদ ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন, যেসব সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত বিএনপি নিয়েছে তা স্বেচ্ছাচার মূলক সিদ্ধান্ত। জোটের সিদ্ধান্ত বিএনপি একাই নিয়ে নিয়েছে। ফলে জোটের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করেই এসব সিদ্ধান্ত শরিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করবে, তা স্বাভাবিক। সে অস্বস্তি বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। এগুলো সহজেই সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না।