• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বিএনপির সমাবেশে লাঠি-পতাকা কেন?

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে জাতীয় পতাকা নিয়ে দলের কর্মীদের অংশগ্রহণ সম্প্রতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। পতাকা ধরে রাখার আবশ্যিক উপাদান হিসেবে মিছিল-সমাবেশে ঢুকছে লাঠি, কাঠ ও বাঁশ, যা ব্যবহার হচ্ছে সংঘর্ষে।

বিএনপির অভিযোগ, অহেতুক মারমুখী ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। আর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক শহীদুল হকের মতে, উসকানি দিয়ে ইস্যু তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। নিয়ম মেনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের দায়িত্ব। এদিকে সংঘর্ষ এড়াতে আরও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

গেল তিন মাসে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদলের সমাবেশ থেকে ধাওয়া করা হয় পুলিশকে। ওই সমাবেশেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঘোষণা দেন, পুলিশ বাধা দিলে পাল্টা আক্রমণের।

আরেক কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাস চান বন্দুকের লাইসেন্স। তিনি বলেন, বন্দুক দিয়ে বন্দুক মোকাবিলা করব। লাইসেন্সবিহীন বন্দুক দিয়ে নয়।

গেল তিন মাসে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দেশের অন্তত ৬টি জেলায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। সবশেষ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) মুন্সীগঞ্জে ঘটে একই ঘটনা।

বিএনপির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। ক্ষমতায় গেলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে নতুন সরকার গঠন হলে এসব পুলিশ কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। কারণ, এ ধরনের পুলিশ দিয়ে সমাজ, জাতি বা দেশের কোনো উন্নয়ন হবে না।  

এদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক শহীদুল হক বলছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনোই পুলিশ বাধা দেয় না। উসকানির মাধ্যমে ইস্যু তৈরি করতে চায় সহিংসতাকারীরা।

তিনি বলেন, অতীতের আন্দোলনগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিরোধী দলের আন্দোলনকারীরা পুলিশকে টার্গেট করে। পুলিশকে নানাভাবে উসকানি দেয়া হয়। এর একটা লক্ষ্য হলো, তারা পেশিশক্তি প্রয়োগ করে জনগণের কাছে প্রমাণ করতে চায় যে তারা অনেক শক্তিশালী। আরেকটা লক্ষ্য হলো, তারা পুলিশকে উসকানি দিয়ে অ্যাকশনে ইনভাইট করে। সংঘর্ষ হলে আহত ও নিহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটে। এতে তারা একটা ইস্যু পেয়ে যায়।

শহীদুল হক বলেন, আসলে পুলিশ কখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করে না। বিরোধী দলের মধ্যে অতি বিপ্লবী উচ্ছৃঙ্খল অনেক নেতাকর্মী থাকে। ওই দলের নেতারাও কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। দেখা গেল যে তারা পুলিশকে একটা ঢিল ছুড়ল বা একটা ককটেল মারল। এতে পুলিশ আহত হলো। তখন পুলিশ অ্যাকশনে চলে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অ্যাকশনে যেতে পারে, তবে সেটিও হতে হবে আইন মেনে, বলছেন বিশ্লেষকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, এমন হতে পারে যে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো শক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করেছে। তো সে ক্ষেত্রে এই জায়গাটায় পুলিশের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। জনগণকে নিরাপত্তা দিতে সন্ত্রাসী বা সহিংসতাকারীদের দমন করতে হবে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের প্রধান কাজ। কিন্তু সেই দায়িত্বটা পালন করতে গিয়েও তারা যা খুশি তা করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে আইন অনুযায়ী স্তরে স্তরে অগ্রসর হতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু শক্তি প্রয়োগ করতে হবে।

সভা-সমাবেশ থেকে পুলিশকে উসকানি দেয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি পুলিশকে আরও সহনশীল হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।