• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

যে ১০ কারণে মানুষ ঈমান হারায়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২  

আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার এবং একে আকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কেউ এমন কাজ না করে, যা তাকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এ ব্যাপারে দাওয়াত দেওয়ার জন্যই আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

 وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِيْ كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولاً أَنِ اعْبُدُوْا اللهَ وَاجْتَنِبُوْا الطَّاغُوْتَ فَمِنْهُمْ مَنْ هَدَى اللهُ وَمِنْهُمْ مَنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلاَلَةُ

 

‘আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসুল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগুতকে পরিহার কর। এরপর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যককে আল্লাহ হেদায়াত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্য বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল।’ (সুরা নাহল : আয়াত ৩৬)

সুতরাং যারা নবিদের দেখানো পথ অনুসরণ করবে তারা সৎপথ পাবে। আর যারা তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করবে না কিংবা অবাধ্যতা বা বিরোধিতা করবে তারা পথভ্রষ্টতায় নিপতিত হবে। এছাড়াও এমন কিছু কাজ-কর্ম রয়েছে, যা মুসলমানের ঈমানকে ধ্বংস করে দেয়, তাকে ‘মুরতাদে’ পরিণত করে তথা ইসলাম থেকে বের করে দেয়। ইসলাম থেকে খারিজ হওয়ার বা ঈমান বিনষ্ট হওয়ার কারণ অনেক। তন্মধ্যে দশটি কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

১. আল্লাহর ইবাদতে শরিক বা অংশীদার স্থাপন করা।

২. যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে কাউকে মাধ্যম তৈরি করে তাদের ডাকে এবং তাদের কাছে শাফায়াত কামনা করে।

 

৩. যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি মুশরিকদের কাফির মনে না করে অথবা তাদের কুফরর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে অথবা তাদের মতবাদসমূহ সঠিক মনে করে।

৪. যদি কোনো মুসলিম নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথ ছাড়া অন্য কোনো পথ পরিপূর্ণ অথবা ইসলামি হুকুমাত বা বিধান ছাড়া অন্য কারো তৈরি হুকুমাত উত্তম মনে করে, তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।

৫. যদি কোনো মুসলমান আল্লাহর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনিত বিধানের কোনো অংশকে অপছন্দ করে তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, যদিও সে ঐ বিষয়ে আমল করে।

৬. যদি কোনো মুসলিম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনিত ধর্মের কোনো বিষয়ে অথবা ধর্মীয় সওয়াব বা শাস্তির ব্যাপারে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তবে সেও ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।

৭. যদি কেউ যাদুর মাধ্যমে ভাল কিছু অর্জন বা মন্দ কিছু বর্জন করতে চায় অথবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক স্থাপন বা ভাঙ্গন ধরাতে গোপন, প্রকাশ্য, মন্ত্র-তন্ত্র করতে চায় অথবা কারো সাথে (ছেলে-মেয়ে) সম্পর্ক স্থাপন বা বন্ধুত্বে ফাঁটল ধরাতে চায়।

৮. মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সাহায্য-সহযোগিতা করলে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।

৯. যে ব্যক্তি মনে করে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরিয়ত ছাড়া অন্য কোনো ধর্মে জীবন পরিচালনা করলেও জান্নাত পাওয়া যাবে বা আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া সম্ভব, সে ব্যক্তি ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে

১০. আল্লাহ মনোনীত দ্বীন ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াও ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত ১০টি কারণ থেকে নিজেদের হেফাজত করার তাওফিক দান করুন। নিজেদের ঈমান হেফাজত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।