রমজানের রোজা আমাদের ওপর ফরজ হলো যেভাবে
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩

রমজান (আরবি: رمضان রামাদান) হলো ইসলামি বর্ষপঞ্জিকা বা আরবি হিজরি সনের নবম মাস, যে মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলিমগণ রোজা পালন করে থাকে।
রমজান মাসে রোজাপালন ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। রমজান মাস চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে; যা নির্ভরযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এই মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির ওপর সাওম পালন ফরজ, কিন্তু অসুস্থ, গর্ভবতী, রোগী, ঋতুবর্তী নারীদের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে।
রোজা বা সাওম হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং (স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে) যৌনসংগম থেকে বিরত থাকা। এই মাসে মুসলিমগণ অধিক ইবাদত করে থাকে। কারণ অন্য মাসের তুলনায় এই মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মাসের লাইলাতুল কদর রাতে কোরআন নাজিল হয়েছিল, যে রাতকে আল্লাহ তাআলা কোরআনে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলেছেন। এ রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের থেকেও অধিক সওয়াব পাওয়া যায়।
রমজান মাসের শেষ দিকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানগণ ঈদুল-ফিতর পালন করে থাকে যেটি মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি।
রমজানে রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে মুসলিমগণ আইয়ামে বীজ ও আশুরা বা মহররমের রোজা রাখতেন। তবে তা তাদের ওপর ফরজ ছিল না, বরং সুন্নাত ছিল। আইয়ামে বীজ বা প্রতিমাসের মাঝের তিনদিন রোজা ইসলামপূর্ব সময়ের স্বভাব অনুসারে রাখা হতো।
মদিনায় হিজরতের পরে ইহুদিদের আশুরার রোজা পালন দেখে মহররম মাসে মুসলিমগণ তাদের চেয়েও একদিন বেশি রোজা রাখা শুরু করে। কিন্তু এসবই ছিল ঐচ্ছিক, রাখার জন্য বাধ্য-বাধকতা ছিল না। (শারহুন নাবাবী আলাল মুসলিম, ১/১৯৮, ইমাম নববী (রহ.), কিতাবুস সিয়াম, হাদিস ১১২৫)
ইসলামি আকিদা-বিশ্বাস যখন মুসলমানদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে গেঁথে গেল, নিয়মিত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তা বৃদ্ধি পেতে পেতে ভালোবাসার পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছলো এবং তাদের মধ্যে শরিয়তের হুকুম-আহকাম ও আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পালন করার এমন এক মন ও মেজাজ সৃষ্টি হয়ে গেল যে, মনে হচ্ছিলো তারা যেন সে-সব হুকুম-আহকামের অপেক্ষায় থাকেন, তখন রাব্বুল আলামিন আল্লাহ রোজার হুকুম নাজিল করলেন।
এটি হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষের ঘটনা। অর্থাৎ নবুয়তের ১৫তম বছরে এসে রোজার বিধান অবতীর্ণ হয়। প্রথমে নাজিল হয় এই আয়াত- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
অর্থ: ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যে-রূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারো। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৩)
তবে প্রথমেই মাসব্যাপী রোজা ফরজ হয়নি। বরং হাতে গোনা কয়েকদিন রোজা ফরজ ছিল, যেন তা কঠিন মনে না হয়। (তাফসিরে তাবারি, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির, পৃষ্ঠা ৪১৩)
এবং সে-কারণেই নাজিল হয়- أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
অর্থ: ‘গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্যদান করবে। যে-ব্যক্তি খুশির সঙ্গে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি রোজা রাখো, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পারো।’ (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৪)
তবে ফরজ হলেও না-রেখে পরিবর্তে মিসকিনদের খাওয়ানোর স্বাধীনতা তখনও ছিল।
শরিয়ত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইসলামের শুরুতে মুসলমানদেরকে রোজা ও ফিদিয়া এর যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে তারা স্বাধীন ছিলেন। যেমন মাআজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, প্রথম দিকে যার ইচ্ছা রাখতো, যার ইচ্ছা না রেখে মিসকিনকে খাদ্য দান করত; কিন্তু পরে এই সুযোগ রহিত হয়ে যায়।
এরপরে নাজিল হয় রমজানে রোজা রাখার অপরিহার্য বিধান- شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৫)
আয়াত নাজিল করে রোজা সবার জন্য আবশ্যক করে প্রদত্ত স্বাধীনতাকে রহিত করা হয়েছে। উম্মাহর সব ওলামায়ে কেরাম একমত যে, এ-আয়াত প্রমাণ করে, রমজান মাসের রোজা ফরজ। যদি কোনো ব্যক্তি শরিয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়া রোজা না-রাখে, তাহলে সে কবিরা গুনাহ তথা মহাপাপের ভাগীদার হবে।
এভাবে রোজা ফরজ করার হিকমত হচ্ছে, বিধান প্রবর্তনে উম্মতের প্রতি সহজিকরণ ও ক্রমান্বয়িক নীতি পরিগ্রহণ। কারণ সিয়াম একটি কষ্টসাধ্য ইবাদত। মুসলমানরা আগে থেকে এ ব্যাপারে খুব একটা অভ্যস্ত ছিলেন না। যদি সূচনাতেই এটি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হতো, তাহলে ব্যাপারটি তাদের জন্য কঠিন হয়ে যেতো। তাই প্রথমে রোজা ও ফিদয়ার মাঝে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
অতঃপর আস্তে আস্তে তাদের ইয়াকিন মজবুত হয়েছে, মানসিক অবস্থা স্থিরতা লাভ করেছে এবং ধীরে ধীরে রোজার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। তখন স্বাধীনতা উঠিয়ে নিয়ে কেবল রোজাকে আবশ্যিক করা হয়েছে। কঠিন ও কষ্টসাধ্য বিধি-বিধানের ব্যাপারে ইসলামে এর বহু নজির বিদ্যমান। একে পরিভাষায় ক্রমান্বয়ে প্রবর্তন বলা হয়। (নবিয়ে রহমত, সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি)
- মঠবাড়িয়ায় ২৭০টি ঘর উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
- নারীর যখন তিরিশ বছর, পাঁচটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্যই লাগবে
- ইফতারে থাকুক পুষ্টিকর মাঠা
- তরমুজের বীজ গিলে ফেললে শরীরে যা ঘটে
- নোয়াখালীর মডেল মসজিদে বিস্ফোরণ
- সবাইকে কিছু না কিছু কর দিতে হবে: সালমান এফ রহমান
- থিম্পুতে বাংলাদেশ-ভুটান যুগান্তকারী চুক্তি সই
- ‘শেখ হাসিনার সরকার, চিরদিনই দরকার’
- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ সদস্যের টি-২০ দল ঘোষণা
- মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলায় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ ৮৮ সেনা নিহত
- ৫০০ রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই শেষে ফিরে গেলো মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
- ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকার বেশি হওয়া অযৌক্তিক: ভোক্তার ডিজি
- যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটি একপেশে-পক্ষপাতদুষ্ট: তথ্যমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধুই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন
- মেহেরপুরে জামায়াতের রোকন গ্রেফতার
- মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়
- ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ১৫ বছর, তবুও হলো না রক্ষা
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে সজাগ সরকার: আইনমন্ত্রী
- বার বার কৌশলে হেরে যাচ্ছে বিএনপি
- রমজানে টিকটক, রিলস নিয়ন্ত্রণের দাবি
- ঈদে ট্রেনের সব অগ্রিম টিকিট অনলাইনে, মিলবে না কাউন্টারে
- নির্বাচনে বিএনপি আসবে কিনা, সেটা তাদের বিষয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- ধর্ষণ অভিযোগ থেকে বাঁচাতে শাকিবের দুই সাবেক স্ত্রীর চেষ্টা
- চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
- দুঃখী মানুষের মুখের হাসিই বড় প্রাপ্তি: প্রধানমন্ত্রী
- স্মার্ট বাংলাদেশ-ভিশন সম্পর্কে প্রচারের জন্য ডিসিদের চিঠি
- ৭ জেলা ও ১৫৯ উপজেলাকে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা
- বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
- আম পাড়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাইকে হত্যায় ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন
- আরাভ খান গ্রেপ্তার কিনা, যা বললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- মঠবাড়িয়ায় হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
- মাদকসহ দুই নারী গ্রেফতার ॥ ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার
- জালিয়াতির চক্রের মূলহোতা বাচ্চু মাতুব্বর গ্রেপ্তার
- যুবদলের নাশকতা মামলার গ্রেপ্তার ২
- কৃষককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় ১৮৪ টি আশ্রয়নের ঘর উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
- মঠবাড়িয়ায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
- মঠবাড়িয়ায় চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী গাঁজা শফিক আটক
- ‘আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে কাজ করছে সরকার’
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ ইটভাটা মালিকের সাজা
- সিমে নেটওয়ার্ক পায় না যে কারণে, সমাধানের উপায়
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত
- মঠবাড়িয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন
- অর্ধ শতাধিক ইট পাঁজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন পরিবেশ অধিদপ্তর
- প্রাথমিকের বৃত্তির ফল মঙ্গলবার
- মঠবাড়িয়ায় ভোক্তা অধিকার এর অভিযান
- বৃত্তিমূলক মহিলা প্রশিক্ষণ শেষে ৭৫ জনকে সনদ প্রদান
- মঠবাড়িয়ায় ৮৩০ ভূমিহীনের দিনবদল
- এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
- মঠবাড়িয়ায় ৮৭৫ টি জেলে পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ