• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

কেমন ছিল মহাকাশে ৭ ঘণ্টার হাঁটা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  

মহাকাশে প্রায় ৭ ঘণ্টা হেঁটেছেন নভোচারীরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সোলার প্যানেল সংস্কারকাজ তদারকির জন্য মহাশূন্যে হেঁটেছেন জাপান আর ইউরোপের স্পেস এজেন্সির নভোচারীরা।

২০ বছর ধরে সোলার অ্যারে বা প্যানেলগুলো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই সোলার প্যানেল তৈরি হয়েছিল ১৫ বছর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, মেরামতের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পরিচালনার সময় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এই সোলার স্টেশন সংস্কারের জন্য মহাশূন্যে টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা হেঁটেছেন দুজন নভোচারী।

জাপানের এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি জাক্সার নভোচারী আকিহিকো হোশিদে আর ইউরোপীয়ন স্পেস এজেন্সির নভোচারি থমাস পেসকুয়েত সোলার প্যানেলের সংস্কার কাজ করেছেন। তাদের সার্বিক সহায়তা করেছে নাসার নভোচারী মার্ক ভান্দে হেই। এই মার্কের তাদের সঙ্গে মহাকাশে হেঁটে সোলার স্টেশনের সংস্কারকাজে অংশ নেয়ার কথা ছিল।

এই স্পেস ওয়াকের আগস্টেই পরিচালনার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন মার্ক। এরপর স্পেস ওয়াকে যান বাকি দুজন নভোচারী। এই স্পেস ওয়াকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রোল আউট সোলার অ্যারেয় স্থাপন করা হয়েছে।

নাসা বলছে, ভবিষ্যতে মহাকাশে নতুন সোলার অ্যারে স্থাপনের আগে প্রাথমিকভাবে আপাতত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সোলার অ্যারেয় স্থাপন করা হলো। হোশিদে আর পেসকুয়েত আইএসএস'এর এক পাশে সোলার অ্যারেয়র সাপোর্ট ব্র্যাকেট স্থাপন করবেন যেটা মডিফিকেশন কিট নামেও পরিচিত। এই কিটই ভবিষ্যতে নতুন সোলার অ্যারেয় স্থাপনে সহায়তা করবে। এরমধ্য দিয়ে নতুন ৬টি রোল আউট সোলার অ্যারেয়র মধ্যে তিনটি স্থাপন করা শেষ হবে।

হোশিদে এই নিয়ে চতুর্থবার স্পেসওয়াকে গেছেন আর পেসকুয়েত গেছেন ষষ্ঠবারের মতো। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের ২৪৪ তম স্পেসওয়াক এটি। আইএসএস'এর যান্ত্রিক ত্রুটি সারানো, যন্ত্রাংশ মেরামত করা আর সংস্কার করাই স্পেসওয়াকের মূল উদ্দেশ্য।

নতুন সোলার প্যানেল পুরোপুরি স্থাপন সম্ভব হলে এই প্যানেল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের জ্বালানি সক্ষমতা ৩৫ গুণ বাড়িয়ে দেবে। ১৬০ কিলোওয়াট থেকে ২১৫ কিলোওয়াটে উন্নীত হবে আইএসএস'এর বৈদ্যুতিক সক্ষমতা। সোলার অ্যারেয়গুলো প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কাজে আসছে বছরের পর বছর ধরে। নভোচারীরা নতুন সোলার প্যানেলগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে, যেন এগুলো অনেক বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।