• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বাংলাদেশের সিরিজের মধ্য দিয়ে চেমসফোর্ডের নতুন ইতিহাস

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩  

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আয়ারল্যান্ডের পরিবর্তে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের সিরিজ আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রতিটি ম্যাচেই কানায় কানায় পূর্ণ ছিল দর্শকে। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বাংলাদেশি সমর্থক। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময় পর ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো এসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এদিকে সিরিজ আয়োজন করতে পেরে খুশি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

দ্য প্যাভিলিয়ন চেমসফোর্ডের ক্রিকেট মাঠটি ১৯৬৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অপেক্ষাকৃত ছোট এই গ্রাউন্ডের ধারণক্ষমতা সাড়ে ছয় হাজার। ১৯৮৩ সালের অষ্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ম্যাচের সূচনা হয় এখানে। আর সবশেষ বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ।

১৯৯৯ সালে এখানেই বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের পর আর কোনো ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়নি। দুই যুগ পর বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে বল গড়াল এখানে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি সমর্থকদের উল্লাস ও উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল পুরো গ্রাউন্ড। লাল সবুজের জার্সি ও পতাকায় যেন পরিণত হয়েছিল বাংলার মিরপুর স্টেডিয়াম। এমন দৃশ্যপটের প্রশংসা করছেন খোদ এসেক্স ক্রিকেট ক্লাবের শীর্ষকর্তা।

এসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন স্টেফহেনসন বলেন, ‘বিশেষ করে বাংলাদেশ দলের জন্য অন্যরকম একটি ক্রিকেটীয় উন্মাদনা দেখা গেছে এই মাঠে। ২৪ বছর পরে এখানে এ ধরনের ম্যাচ আয়োজন করতে পেরে আমরা খুব খুশি।

লন্ডনসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে বাংলাদেশ দলের খেলা দেখতে আসা সমর্থকরা যেন প্রাণ ফিরিয়ে দিল এই গ্রাউন্ডের। এসেক্স ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে বাংলাদেশে সম্পর্কটা বেশ গভীর। এ সিরিজ আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশি সমর্থকদের গ্রাউন্ডে আনতে পারায় খুশি বলে জানান ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
 
ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল আলম রতন বলেন, ‘আমরা খুব খুশি এই সিরিজ আয়োজন হওয়ায়। এ কারণে সমর্থকেরা মাঠে ফিরেছেন। সাংবাদিক থেকে শুরু করে মাঠের সবাই আনন্দের সঙ্গে তাদের কাজ করতে পেরেছেন।’