• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

অন্য দেশে এইডস রোগী বাড়ছে, আমাদের কমছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২০  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এক বিবৃতিতে একথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশ থেকে এইডস আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশে এই সংখ্যা ক্রমশ হ্রাসমান রয়েছে। এ করোনার সময়েও এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং সরকার এইডস রোগীদের সব ধরণের চিকিৎসা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা বিনামূল্যে চালু রেখেছে। এর ফলে, আমাদের দেশে এইডস-এর সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

দেশের স্বাস্থ্যখাতের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে যত পুরস্কার পেয়ে দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে সম্মানিত করেছেন, তার অধিকাংশই তিনি পেয়েছেন স্বাস্থ্যখাতের সফলতার জন্য। স্বাস্থ্যখাত ইতোমধ্যেই পোলিও, টিটেনাস, যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ সময়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রয়োগেও আগামীতে স্বাস্থ্যখাত সফল হবে।’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সামলাতে সক্ষম হয়েছি এবং দ্বিতীয় ঢেউ এলেও এখন আর তেমন সমস্যা হবে না। সরকারি-বেসরকারি উভয় শক্তি মিলেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে। কেননা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্যখাতের এখন সব ধরণের প্রস্তুতি হাতে রয়েছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘হাসপাতাল প্রস্তুতকরণ, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা, প্রশিক্ষণ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সবই এখন প্রস্তুত। তাই দ্বিতীয় ঢেউ চলে এলেও তাকে সামলানো কঠিন হবে না। তবে, দেশের মানুষকেও একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। মাস্ক পরার গুরুত্ব অনুধাবন করেই সরকার ধীরে ধীরে কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে করোনা মোকাবিলার কাজকে সহজ করতে এগিয়ে আসতে হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব।'