• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল জিয়ার শাসনামল

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০  

জিয়াউর রহমানের শাসনামল আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। বিভিন্ন পন্থায় তিনি তরুণদের দুর্বৃত্তায়নের দিকে ধাবিত করেন বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের সাংবাদিক ও লেখক অ্যান্টনি মাসকারেনহাস। “ বাংলাদেশ : এ লিগেসি অব ব্লাড” বইয়ে জিয়ার শাসনামলকে অমানিসার সরকার বলেও উল্লেখ করেছেন অ্যান্থনি।

প্রেসিডেন্ট জিয়া রাষ্ট্রীয় টাকার বিপুল অপচয় ঘটিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোর বিভিন্ন স্তরে নানা কৌশলে দুর্বৃত্তায়নের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আমলে যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হতো মূল বাজেট বরাদ্দের ১৩ শতাংশ, সেখানে ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে তা দাঁড়ায় ২৯ শতাংশ বলেও উল্লেখ করেছেন এ্যান্থনি।

জিয়া দেশের যুবকদের দুর্নীতিগ্রস্ত করতে যুব কমপ্লেক্সের নামে দেশজুড়ে উন্মুক্ত-চাঁদাবাজির প্রচলন করেন। মাত্র তিন বছরে বাংলাদেশে ৩ হাজার ৬৭০টি যুব কমপ্লেক্স করা হয়। এই যুব কমপ্লেক্সের আয়ের উৎস ছিল দেশের হাট-বাজার ও মেলা থেকে আদায়কৃত টাকা।

১৯৭৯-৮০, ১৯৮০-৮১ এই দুই অর্থবছরে বাজার ও মেলা থেকে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা। এসব টাকা গেছে যুব কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত সমবায় সমিতির পান্ডাদের পকেটে, জিয়া চোখ বন্ধ করে ছিলেন, কারণ তারাই তার রাজনৈতিক সমর্থক বলে উল্লেখ করেন অ্যান্টনি।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের যেসব সম্পত্তি জাতীয়করণ করেছিলেন, তা জিয়া তাদের ফিরিয়ে দেন। যাদের ফিরিয়ে দিতে পারেন নি তাদের ক্ষতিপূরণ দেন। জিয়া মদ, জুয়া ও পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স প্রদান করে সমাজ নষ্টের বিষবৃক্ষ রোপণ করেন। তখনকার প্রজন্মকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া।

গ্রাম্য যুবকদের একাংশ তিনি হাট-বাজারের ইজারার অধিকার দিয়ে দলীয় ক্যাডারে পরিণত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের নষ্ট রাজনীতির পঙ্কিল পথে টেনে আনেন। এসব মেধাবী ছাত্ররা লেখাপড়া ভুলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি, তদবিরবাজি, হলের সিট ভাড়া ইত্যাদি বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয় বলেও উল্লেখ করেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস ।