• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষিতে সফলতা এসেছে: এলজিআরডি মন্ত্রী

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২০  

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের উন্নতির পাশাপাশি দেশ স্বর্নিভর হবে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে সফলতা অর্জন করেছে। আমরা এখন বিদেশেও খাদ্য রফতানি করতে পারছি। দেশ যত বেশী উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ততই আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

শুক্রবার কুমিল্লার লাকসামে আধুনিক যন্ত্র নির্ভর ও কমিউনিটি ভিত্তিক যৌথ চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করার লক্ষে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) কর্তৃক গৃহীত কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ও যৌথ খামার ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যান্ত্রিকীকরণের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করে আধুনিক চাষ ব্যবস্থা প্রবর্তনের মডেল উদ্ভাবনের লক্ষে এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে খণ্ড খণ্ড জমিকে ডিজিটাল ভূমি জরিপের মাধ্যমে আইল উঠিয়ে দিয়ে জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসলের চাষাবাদ ও শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে। আধুনিক এ পদ্ধতিতে কৃষকদের নিয়ে গঠিত একটি সামাজভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে চাষাবাদ পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে সরকারের সব ধরনের ভর্তুকির পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে যৌথ খামার প্রতিষ্ঠার ফলে কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ হ্রাস পাবে এবং কৃষি হবে কৃষকের জন্য আরেকটি লাভজনক জীবিকা। আমার বিশ্বাস, পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পটি একটি উন্নয়ন মডেল হিসাবে দাঁড়াবে এবং কৃষিতে আরেকটি নতুন বিপ্লব সূচিত হবে।

কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসান, বার্ডের মহা-পরিচালক মো. শাহজাহান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও কুমিল্লার উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত, লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এড. ইউনুছ ভূঁইয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস প্রমুখ।

বার্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল ভূমি জরিপের মাধ্যমে উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, ছনগাঁও গ্রামের যৌথ খামার প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ৭৫ জন কৃষকের ৪০ একর কৃষিজমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়।