• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

আরও দু’টি সাবমেরিন ক্যাবল পাচ্ছে বাংলাদেশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৯  

 

২০২৩ সালের মধ্যে আরও  দুটি সাবমেরিন ক্যাবল পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর একটি হবে সরকারি উদ্যোগে, অন্যটি বেসরকারি উদ্যোগে। সি-মি-উই-৬ নামের (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের মিলিত কনসোর্টিয়াম) সরকারি ক্যাবলটি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। আর বেসরকারি সাবমেরিন ক্যাবলটি ২০২১ সালের আগেই চালু করতে চান এর উদ্যোক্তারা।

জানা গেছে, সরকার সাবমেরিন ক্যাবলের বেসরকারি উদ্যোগকেও স্বাগত জানিয়েছে। এরই মধ্যে দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের লাইসেন্স পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওই উদ্যোগের বিষয়টিকে সরকার ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। অন্যদিকে, সরকারি উদ্যোগের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে এরইমধ্যে সি-মি-উই-৬ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে আমরা তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল বাণিজ্যিকভাবে চালুর পরিকল্পনা করেছি। এর আগে বেসরকারি উদ্যোগে দেশে সাবমেরিন ক্যাবল চালু হয়ে যাবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য লাইসেন্স দেবো বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু কয়টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাবে সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, কে কোয়ালিফাই করবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনই আমাদের কাছে ফিজিবল বলে মনে হয়েছে। তারা কারিগরিভাবে কতটা সক্ষম, তাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় দেখা হবে। লাইসেন্স দিলেই তো হবে না। তারা টিকে থাকতে পারবে কিনা, সেটাও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স পেয়েও যেতে পারে।’

মন্ত্রী জানান, বেসরকারি উদ্যোগে যে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ বাংলাদেশ পাবে সেটির ব্যবসা, বাজার যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়— সেজন্য টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে সময় অন্তত দুটি ব্যাকআপ সাবমেরিন ক্যাবল থাকবে। ফলে বেসরসারি উদ্যোগের সাবমেরিন ক্যাবল প্রথম থেকেই প্রায় ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করেত পারবে।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। এর মধ্যে দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে আসছে ৮০০ জিবিপিএস আর টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে ভারত থেকে আসছে ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। যদিও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা এক হাজার ৫০০ জিবিপিএস। সংশ্লিষ্টরা জানান, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা হবে ১০ হাজার জিবিপিএস। এই ব্যান্ডউইথ ক্যাবলের দুই প্রান্ত থেকে আসবে। কক্সবাজারের ল্যান্ডিং স্টেশনে সিঙ্গাপুর প্রান্ত থেকে ৫ হাজার এবং ফ্রান্স প্রান্ত থেকে ৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসবে বলে জানা গেছে।

স্থলভাগের কানেক্টিভিটিতেও বাংলাদেশ

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো মিলে যে কানেক্টিভিটি তৈরি করছে— সেই উদ্যোগে বাংলাদেশও সামিল হতে চায়। মূলত মহাসড়কের পাশে (এশিয়ান হাইওয়ে) ক্যাবল বসিয়ে কানেক্টিভিটি তৈরি করা হবে। প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েতেই স্বল্প খরচে এই কানেক্টিভিটি তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার  বলেন, ‘এই কানেক্টিভিটি সক্রিয় হবে ২০২৬ সালের দিকে। এটিতে বাংলাদেশও যুক্ত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো— মালয়েশিয়া হয়ে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত কানেক্টিভিটি তৈরি করা।’ মন্ত্রী আরও  বলেন, ‘আমি সড়ক ‍ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। তিনি যেন মহাসড়ক তৈরির সময় ক্যাবল বসানো ব্যবস্থা রাখেন।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে বিভাগকে বলে দিয়েছি মহাসড়কের পাশে একটা করে ক্যাবল বসাতে।’

মন্ত্রী জানান, ভারত থেকে যে মহাসড়ক বাংলাদেশ হয়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া হয়ে মালয়েশিয়া চলে যাবে, সেটার পাশে ক্যাবল বসিয়ে কানেক্টিভিটি তৈরি করা হবে। ফলে এখান থেকেও বাংলাদেশ বড় ধরনের সুবিধা পাবে।