• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

আলেকজান্ডারের মুদ্রার সন্ধানে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলের কাছে বিশ্বের প্রাচীনতম কিছু মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন কয়েক জেলে। গাজার প্রত্নতত্ত্ববিদ ফাদেল আলাটোল প্রথম শনাক্ত করেন এসব দুই হাজার ৩০০ বছর আগের মেসিডোনিয়ার শাসক আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ডেকাড্রাকমা মুদ্রা। গ্রিস থেকে ভারত পর্যন্ত রাজত্ব বিস্তার করেছিলেন আলেকজান্ডার। মিসর অভিযানের সময় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গাজা দখল করে নিয়েছিলেন তিনি। প্রত্নতত্ত্ববিদ ফাদেল আলাটোল বলেন, 'আমি একটি মুদ্রা হাতে তুলে নিয়ে হতভম্ব আর অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম।'

২০১৭ সালের বসন্তে সমুদ্র থেকে ওই মুদ্রাগুলো তুলে আনার আগে পর্যন্ত পাওয়া প্রতিটি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ডেকাড্রাকমা (আলেকজান্ডারের মুদ্রা) আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলোর তথ্য ফাদেলের সংগ্রহে রয়েছে। ফাদেল আলাটোল মুদ্রাগুলো শনাক্ত করার পর সেগুলো নিখোঁজ হয়ে যায়, ধারণা করা হয় মুদ্রাগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।

কয়েক মাস পরে একই ধরনের মুদ্রা বিশ্বের বিভিন্ন নিলাম কেন্দ্রে বিক্রির জন্য উঠতে শুরু করে। লন্ডনের নিলাম প্রতিষ্ঠান রোমা নিউমিসমেটিক্সে একটি আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমা বিক্রি হয়েছে এক লাখ পাউন্ডে। পরবর্তী দু'বছরে এ ধরনের ১৯টি মুদ্রা বাজারে ওঠে। এর মধ্যে ১১টি মুদ্রা বিক্রি করে রোমা নিউমিসমেটিক্স। দুর্লভ মুদ্রাগুলো কোথা থেকে এসেছে, তার কোনো ইতিহাস প্রকাশ করা হয়নি।

১৯৭৩ সালের আগে পর্যন্ত মুদ্রাগুলো সম্পর্কে কোনো তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি। বিবিসির অনুসন্ধানে ২০১৭ সালের বসন্তে নিলামে তোলা ১৯টি আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমার মধ্যে ছয়টি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।

মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ড. উটে ওর্টেনবার্গ বলছেন, 'মুদ্রাগুলো গাজা থেকে আসার ব্যাপার এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে, কারণ আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী এবং জেনারেলরা এ অঞ্চল দিয়েই ফিরছিলেন, তখন কোনোভাবে এসব মুদ্রা হারিয়ে গেছে।' তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এসব জিনিস একেবারে হারিয়ে যাওয়ার আগে প্রক্রিয়া অনুযায়ী অনুসন্ধান চালানো ভালো হবে।'