• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

আসল বলে নকল স্বর্ণবার দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৫

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২০  

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩২টি নকল স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৫ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের ধোপার দীঘিরপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মো. জসিম উদ্দিন (৪২), মো. ওসমান প্রকাশ রুবেল (২৯), মো. সোলাইমান (৩৫), মো. ইদ্রিস (৫৮) ও মো. আবু জাহেদ (৩৬)।

তাদের তল্লাশি করে ৩২টি নকল স্বর্ণের বার, ৯টি শিরিষ কাগজ, ৩টি টেস্টার, ১০টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১টি তাতাল, ১টি র‌্যাত, ১টি নোজ প্লায়ার্স, ১টি প্লায়ার্স, ১টি অটোরেঞ্জ, ১টি হেক্সা ফ্রেম, ২টি হেক্সা ব্লেড, ১টি গহনার বক্স, ১টি হিট সিল, ৬টি নাট, ৫টি বফ সাবান টুকরা এবং ১টি রেঞ্জ উদ্ধার করে র‍্যাব সদস্যরা।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি একটি প্রতারকচক্র জেলার হাটহাজারী থানাধীন ধোপার দীঘিরপাড়ে নকল স্বর্ণবার বিক্রির উদ্দেশে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে অপেক্ষা করছে। অভিযানের শুরুতেই র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু র‌্যাব সদস্যরা পাঁচজনকেই ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে।

তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নকল স্বর্ণের বারকে আসল বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রীবেশে নিরীহ জনগণকে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে ধোকা দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারা বিভিন্ন কৌশলে গল্প ফেঁদে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।

সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, কৌশলের অংশ হিসেবে প্রতারকচক্রের সদস্যরা রিকশা, ভ্যান বা অটো চালিয়ে যাত্রী পরিবহন করে। বাহনে আগে থেকেই প্রতারকচক্রের দুই একজন সদস্য গাড়িতে বসা থাকে। বাহনে সাধারণ যাত্রী ওঠার কিছুক্ষণ পর চালক হঠাৎ করে তাদের বলেন, ‘ভাই আমি পড়ালেখা জানি না। আমার চাচা চিঠিসহ এই বক্সটা আমাকে দিয়েছেন বা আমি বক্সটা কুড়িয়ে পেয়েছি। দেখেন তো কী লেখা আছে?’ যাত্রীরা প্রতারণাপূর্ণ চিঠিটি পড়ে পিতলের তৈরি বারটি আসল সোনার বার মনে করে। তখন ওই চালক এবং ছদ্মবেশী অন্য সদস্যরা যাত্রীদের নকল বারটি কিনতে উদ্বুদ্ধ করে। যাত্রীরা ফাঁদে পড়লে বারটি কিনে নেন অথবা তাদের কাছে থাকা আসল গহনার বিনিময়ে নিয়ে প্রতারিত হন।

তিনি আরও বলেন, একইভাবে তারা নিজেরাই বারটি রাস্তায় ফেলে নিজেরা কুড়িয়ে নিয়ে পেয়েছি বলে চিৎকার দিয়ে সাধারণ পথচারীদের প্রতারিত করে। এছাড়াও তারা সাধারণ যাত্রী-পথচারীদের চেতনানাশক মলম ব্যবহার করে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নেয়।