• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিএসপি বহাল, ভূয়সীয় প্রশংসা শ্রম প্রতিমন্ত্রীর

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২০  

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ফলস্বরুপ এ সফলতা এসেছে উল্লেখ করে দলগত অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বিষয়ে ইইউ ন্যায়পাল কার্যালয়ের এ ধরনের একটি ইতিবাচক রায় দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায় শ্রম মন্ত্রণালয়।

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) এর ন্যায়পাল কার্যালয়। এমন একটি স্বস্তিদায়ক সংবাদকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বড় সফলতা বলছেন প্রতিমন্ত্রী।

বিবৃতিতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজমের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের এই দলগত অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বেপজাসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের যেসব কর্মকর্তা এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

বিবৃতিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি), ক্লিনক্লথ ক্যামপেইনসহ শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করে এরূপ চারটি আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০১৬ সালে ইইউভুক্ত দেশসমূহে জিএসপি সুবিধা সাময়িক প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। প্রায় একইরকম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ এরইমধ্যে কম্বোডিয়ার জিএসপি সুবিধা আংশিক বাতিল করে দিয়েছে। ফলে কম্বোডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রফতানি পণ্যগুলো এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অভিযোগকারী চারটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শ্রমমান নিয়ে বাংলাদেশকে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা যুগোপযোগী করা, ইপিজেড শ্রম আইন সংশোধন, শ্রম আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি, শিশু শ্রম নিরসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পরিদর্শক নিয়োগ, শ্রমিক হয়রানি বন্ধ, জবরদস্তিমূলক শ্রম বিষয়ক প্রোটোকল-২৯ এবং ন্যূনতম বয়স বিষয়ক আইএলও কনভেনশন -১৩৮ অনুস্বাক্ষরসহ নয়টি বিষয়ের ওপর কাজ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের চার বছরব্যাপী বিভিন্ন পদক্ষেপে গত ২৪ মার্চ ইইউ ন্যায়পাল কার্যালয় আন্তর্জাতিক চারটি সংগঠনের ওই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরইমধ্যে শ্রম আইন, ইপিজেড আইন সংশোধন করা হয়েছে, শ্রম বিধিমালা যুগোপযোগী করার কাজ চলছে,শিশু শ্রম নিরসনে কাজ শুরু হয়েছে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারপরও এ বিষয়গুলোতে প্রয়োজনে আরো উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানানো হয়।