ইসলামে বিবাদ মীমাংসা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২০
সমাজ জীবনে মানুষ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তাই পারস্পরিক সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব, সমঝোতা প্রভৃতি সদাচরণ সমাজে অন্যায় ও জুলুমের অবসান ঘটায় এবং ক্রমান্বয়ে মানবসভ্যতাকে গতিশীল করে তোলে।
তাই দেখা যায়, মানুষ যখন পারস্পরিক সমঝোতা ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে অখন্ড ভ্রাতৃসমাজ গঠন করেছে তখন তারা অগ্রগতি ও শান্তির উচ্চমার্গে পৌঁছে গেছে। আর যখনই বিভেদ মাথাচাড়া দিয়া উঠেছে, তখনই পতন হয়েছে।
ইতিহাসের ঘটনা পরস্পরা এইরূপ অসংখ্য দৃষ্টান্তে ভরা। সমাজের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে পারস্পরিক দয়া, সৌহার্দ ও সৌজন্য সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত। সহমর্মিতাসুলভ গুণাবলি মানুষকে একে অপরের নিকটে নিয়ে আসে। হিংসা-বিদ্বেষ বিভেদের বীজ বপিত করে। যার ফলশ্রুতিতে সামাজিক সংহতি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন, যার ভিত্তি ছিল পারস্পরিক সম্মানবোধ, ন্যায় বিচার ও মানবিকতাবোধ। (আল হায়সামি, কাশফুল আসতার, ২ খ., পৃ. ৩৫)।
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার এক প্রতিবেশী আমাকে পীড়া দেয়। তিনি বললেন, যাও, তোমার গৃহ-সামগ্রী গিয়ে রাস্তায় বের করে ফেল। সে ব্যক্তি তখন ঘরে গিয়ে তার গৃহ-সামগ্রী রাস্তায় বের করে ফেলল। ফলে লোকজন জড় হয়ে গেল। তারা জিজ্ঞাসা করল, তোমার কী হলো? সে ব্যক্তি বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আমাকে পীড়া দেয়। আমি তা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ব্যক্ত করি। তিনি বললেন, যাও, ঘরে গিয়ে তোমার গৃহ-সামগ্রী রাস্তায় বের কর। তখন তারা সেই প্রতিবেশীটিকে ধিক দিতে দিতে বলতে লাগলো- ‘আল্লাহ! উহার ওপর তোমার অভিসম্পাত হোক। আল্লাহ উহাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত কর! এই কথাটি সেই প্রতিবেশীটির কানেও গেল এবং সে সেখানে এসে উপস্থিত হলো। সে তখন বলল- ‘তুমি তোমার ঘরে ফিরে যাও। আল্লাহর কসম! আর কখনো আমি তোমাকে পীড়া ওদব না।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ : হাদিস নম্বর : ১২৪)।
হাফিজ ইবনে কাইয়্যিম রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, ‘আল্লাহর দ্বীনের উদ্দেশ্য হলো জনগণের মাঝে ইনসাফ কায়েম করা এবং জনগণকে ইনসাফের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখা।’ (হাফিজ ইবনে কাইয়্যিম আলামুল মুকিইন)।
ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে বিচারকাজ পরিচালনা না করা সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠোর বাণী উচ্চারণ করেছেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আউফা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা একজন বিচারকের সঙ্গে ততক্ষণ থাকেন, যতক্ষণ তিনি বিচারকাজে জুলুম-অত্যাচারের ঊর্ধ্বে থাকেন, যখন তিনি জুলুম ও বেঈনসাফি করেন তখনই আল্লাহ তার থেকে পৃথক হয়ে যান এবং শয়তান এসে তার সাথী হয়ে যায়।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজা)।
আব্দুর রহমান ইবনে আবী বাকরা হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিচারক ও ন্যায়বিচারের গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘রাগান্বিত অবস্থায় যেন কোনো বিচারক দু’জন বিবদমানের মধ্যে বিচার ফায়সালা না করেন।’ (বুখারি, মুসলিম)।
কারণ ক্রদ্ধাবস্থায় মানুষের অবস্থা স্বাভাবিক থাকে না। মেজাজ ঠিক থাকে না। ফলে সঠিক রায় ও ন্যায়বিচার তার পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। সামাজিক জীবনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশ কয়েকটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। প্রথমত তিনি অর্থসম্পদ অর্জন, সঞ্চয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন আনার প্রয়াস চালান। সমকালীন দুনিয়া বিশেষত প্রাক- ইসলামি সমাজে ধন-সম্পদ ছিল আভিজাত্যের মাপকাঠি, কামিয়াবির নিদর্শন, শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। তাই মানুষ হন্যে হয়ে অর্থ ও সম্পদ অর্জনের পেছনে ছুটেছে সারা জীবন।
বৈধ-অবৈধ, হালাল-হারাম, ন্যায়নীতি, পাপ-পুণ্য এসব ধার ধারেনি। এভাবে মানুষ হয়েছে অর্থ-সম্পদের দাস, আর অর্থ-সম্পদ হয়েছে তাদের প্রভু। মানুষে মানুষে রক্তপাত, হানাহানি, যুদ্ধংদেহী মনোভাবের সূত্রপাত সম্পদকে কেন্দ্র করেই হয়। সে জন্যই ইসলাম মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে হালাল উপায়ে রুজি করার। হালাল রুজির মূল উদ্দেশ্যই হলো সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্তুসামগ্রী আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদের রুজি হিসেবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় করো আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগি করো।’ (সূরা বাকারা : ১৭২)।
বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের লক্ষ্যে ওয়াহি নির্ভর যে দর্শন পেশ করেন, তা হলো মানব জীবনে অর্থ-সম্পদ অপরিহার্য। জীবন ও জীবিকার তাগিদে অর্থ-সম্পদ অর্জন করতে হয়, কাজে লাগাতে হয়, কিন্তু তা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। অর্থ ও ধনসম্পদসহ দুনিয়ার সব কিছুই মানুষের সেবক ও খাদেম। ‘পৃথিবীর বস্তু নিশ্চয় মানুষের জন্য সৃষ্টি।’ (সূরা বাকারা : ২৯)।
মানুষ ও মানুষের সব কর্মকাণ্ড কেবল আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিবেদিত। সুতরাং অর্থ-সম্পদ অর্জন, সঞ্চয় ও ব্যয় করতে হবে আল্লাহর নির্দেশিত পথে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে তার প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে আহার করে, সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মত নয়।’
ইসলামী বিধানের অন্যতম মহান লক্ষ্য হলো মানুষের মাঝে পারস্পরিক ভালবাসা, সম্প্রীতি, ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করা। এ ক্ষেত্রে প্রথমে প্রয়োজন আদর্শগত ঐক্য ও মনের মিল। এ দু‘টি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে ঐক্যের পথ সুগম হয়ে যাবে। আর তা করতে হলে পরস্পরের প্রতি সু-ধারণা এবং একে অন্যের জন্য কল্যাণ কামনা করা। উক্ত হাদিসে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই সর্বাধিক বিবেচনায় এ হাদিসের তাৎপর্য ও এর যথাযথ প্রয়োগ একান্ত আবশ্যক।
‘আবূ হুরায়রাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মানুষের সব জোড়ার বিনিময়ে প্রতিদিন একটি করে সদকা রয়েছে। দু‘জনের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া একটি সদকা, কোনো ব্যক্তির বোঝা তার বাহনে তোলে দিতে সাহায্য করা কিংবা তোলে দেয়া একটি সদকা, ভালো কথা বলা একটি সদকা, সালাত আদায়ের জন্য বের হয়ে পথ চলার প্রতিটি পদক্ষেপ একটি করে সদকা এবং রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেয়া একটি সদকা।’ (সহিহ বুখারী-হা: ২৮২৭ ও সহিহ মুসলিম- হা: ও ১০০৯)।
মানুষকে হাড্ডি ও জোড়া দিয়ে সৃষ্টির এলাহী রহস্য: আল্লাহ তায়ালা মানুষকে উত্তম অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। প্রতিটি অঙ্গ তৈরি ও বিন্যাসে রয়েছে তার পূণাঙ্গ নৈপুন্যতা এবং কুদরতের জলন্ত সাক্ষী। মানুষ নিজেকে নিয়ে ভাবলেই মহান আল্লাহর প্রতি ষোল আনা ভক্তি ও শ্রদ্ধায় অবনত হতে বাধ্য আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘নিশ্চয়ই আমি তার আঙ্গুলসমূহ সঠিকভাবে সু-বিন্যস্ত করতে সক্ষম।’(আল-কোরআন: সূরা আল ক্বিয়া-মাহ, আয়াত: ৪)।
সুবিন্যস্ত দেহাবয়ব সৃষ্টি করার কারণে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা: মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ সুন্দরভাবে স্থাপন করা এবং অনুভূতি ও সঞ্চালন শক্তি একটি বড় নিয়ামত, যার শুকরিয়া আদায় করে মানুষ কোনো দিন শেষ করতে পারবে না। এতদসত্ত্বেও আত্নভোলা মানুষ প্রবঞ্চনায় পড়ে শুকরিয়া আদায় করতে ভুলে যায়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘হে মানুষ! কিসে তোমাকে তোমার মহিমান্বিত প্রতিপালক সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল? যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন। যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামতো আকৃতিতে গঠন করেছেন।’ (আল-কোরআন: সূরা আল ইনফিত্বার, আয়াত: ৬-৮)।
তিনিই তো একমাত্র খালেক ও অধিপ্রতি। প্রতিটি নিয়ামত সম্পর্কে তাঁর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘অতঃপর সেদিন তোমরা প্রতিটি নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (আল-কোরআনঃ সূরা আত তাকাসুর, আয়াত: ০৮)।
দু‘জন বিবাদমান ব্যক্তির মাঝে মীমাংসা করা: আর এ কাজটি হতে হবে পূর্ণাঙ্গ ইনসাফের সাথে। যাতে বিচার করতে গিয়ে যেন কোনো হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল না করা হয়। এ দরণের বিচার ফাসালা এটি মহৎ কাজ, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। আর এটি মুমিনদের পারস্পরিক দায়িত্বের অন্যতম। এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। অতএব, তোমাদের ভাইদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও, আর আল্লাহকে ভয় করো, সম্ভবতঃ তোমরা সফলকাম হবে।’ (সূরা আল হুজরাত, আয়াত: ১০)।
কোনো ব্যক্তিকে সাহায্য করা: একজন বয়স্ক কিংবা শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি কতটা অসহায়, তা কেবল ওই শ্রেণীর মানুষই বুঝতে পারবে। সবল, সুঠামদেহী ও দুনিয়া বিভোর কারো পক্ষে বুঝা সহজে সম্ভব না। অথচ আল্লাহ এ বিষয়ে তার বান্দাদের সতর্ক করেছেন এবং এ রুপ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহ দিয়ে প্রভুত সওয়াবের কথা উল্লেখ করেছেন। যারা এ কাজ করবেন, তার একটি সদকার নেকী লাভ করতে পারবেন। আর এর মাধ্যমে প্রকৃত মানবতার প্রকৃষ্ট উধাহরণ স্থাপিত হবে।
ভালো কথা বলো: এটিও একটি মহৎ গুণ, যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। কেবল যাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব রয়েছে, কেবল তারাই মানুষকে মানুষ বলে মূল্যায়ণ করবেন এবং তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন।
ভালো কথার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো- সালাম দেয়া, কুশল বিনিময়, হাঁচির জবাবে ‘ইয়ারহামু কাল্লাহ’বলা ইত্যাদি। অথচ আমরা জানি না যে, কষ্ট দিয়ে দান করা বা আর্থিক সাহায্য প্রদান করার চেয়ে উত্তম কথা বলে সান্তনা দেয়া অনেক অনেক ভালো। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘ভালো কথা বলা এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ওই দান-খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট দেয়া হয়.....’(সূরা: আল বাকারাহ, আয়াত: ১৬৩)।
মসজিদে হেঁটে যাওয়া: মসজিদে সালাত আদায়ের জন্য হেঁটে হেঁটে যাওয়ার ফজিলত অনেক। এ মহান কাজটি কেবল ওইসব লোক করতে পারে, যারা মহান আল্লাহর প্রতি ও আখিরাতের প্রতি ঈমানদার, নিয়মিত সালাত আদায়কারী, মালে যাকাতদানকারী এবং শির্রকের মহাপাপ থেকে মুক্ত। রাসূলুল্লাহ (সা.) অন্ধকারেও নিয়মিত মসজিদে গমনকারীকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর বা আলোকবর্তিকার সু-সংবাদ দিয়েছে। (সুনান আবূ দাউদ ও আত তিরমিযী)।
তাছাড়া সকাল-বিকেল মসজিদে গমনকারীর জন্য জান্নাত সু-সজ্জিত করা হয়। (সহীহ মুসলিম)।
কষ্টদায়ক বস্তু রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া: এটি ঈমানের সত্তোরোর্ধ্ব শাখার মধ্যে একটি। এর মাধ্যমে ইসলাম ‘আমলকে একটি আবশ্যকীয় শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং ওইসব লোকের জবাব দিয়েছে, যারা বলেন, ‘আমল ঈমানের অংশ নয়; ঈমান শুধুমাত্র বিশ্বাস ওস্বীকৃতির নাম। তাছাড়া রাস্তায় কষ্টদায়ক কোনো কিছু পড়ে থাকলে তা দ্বারা মানুষই কষ্ট পাবে। তাই মানবতার অন্যতম দাবী হলো এরুপ কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে মানুষের চলার পথ নির্বিঘ্ন করা। যারা শুধু মানবতার শ্লোগান দিয়েই যথেষ্ট মনে করেন, তাদের জন্য এ হাদিসখানা একটি উত্তম জবাব।
উক্ত লেখা থেকে শিক্ষাসমূহ-
(১) মানুষ মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এ সৃষ্টির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নিপুণ সৃষ্টি কৌশলের প্রকাশ ঘটেছে।
(২) মানুষের শরীরে তিনশত ষাটটি জোড়া রয়েছে। আর জোড়ার বিনিময়ে দৈনিক মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত। ইশরাকের দু‘রাকাত সালাত এ জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
(৩) মানুষ প্রতিটি নিয়ামতের জন্য কেয়ামতে জিজ্ঞাসিত হবে। সে জন্য সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।
(৪) ভালো কথা বলা প্রকৃত মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রতিটি ভালো কথার বিনিময়ে বান্দা একটি করে সদকার নেকী পাবে।
(৫) মানবতার প্রকৃত উধাহরণ ইসলাম। ইসলামের শিষ্টাচারের ব্যাপক প্রচলন ছাড়া মানবতার বিকাশ ঘটানো অসম্ভব।
বস্তুবাদী চিন্তা-চেতনা কখনো মানুষকে নির্ভুল সত্যের সন্ধান দিতে পারে না। আর মানুষের সীমিত জ্ঞান দ্বারা মানবতার চূড়ান্ত কল্যাণ সাধন সম্ভব না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বক্ষমান হাদিসে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণকর কাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
তাই আসুন! আমরা প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ মেনে নিজেদের জীবনকে কল্যাণময় করি এবং সহিহ সুন্নার আলোকে
জীবনকে আলোকিত করি।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পবিত্র কোরআন হাদিসের নির্দেশ অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলায় ৬ আসামি কারাগারে
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ ইট ভাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের হাতে পলাতক দুর্ধর্ষ ডাকাত কালাম গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল স্থাপণ করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী
- মঠবাড়িয়ায় পূর্নবাসনের লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় ৪ টি জাতীয় দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- মঠবাড়িয়ায় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় ৯৮০ টি জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল ও ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- দুই সিটি, ছয় পৌরসহ দুই শতাধিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- চলতি মাসে সম্পন্ন হচ্ছে পিরোজপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কাজ
- মঠবাড়িয়ায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীর মাঝে ঢেউটিন বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার- ৫
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত
- বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে