• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

এএসপি আনিসুল হত্যা মামলা: রিমান্ড শেষে কারাগারে আরও ৪

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২০  

পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড মানসিক হাসপাতালের আরও চার কর্মচারীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মারধর করে এএসপি আনিসুলকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। বুধবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এদিন চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।’

এর আগে ১৭ নভেম্বর মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ নভেম্বর হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা  খাতুনকে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১০ নভেম্বর ওই হাসপাতালের দশ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে ১৫ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান আসামি শেখ মাসুদ ও অসীম চন্দ্র পালের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ১৬ নভেম্বর মাইন্ড এইডের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় ও সজীব চৌধুরী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গত ১৭ নভেম্বর আসামি তানিফ মোল্লা ও তানভীর হাসান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।

পুলিশ জানায়, মাইন্ড এইড হাসপাতালে এএসপি আনিসুল করিম নিহতের ঘটনাটি একটি হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কোনও অনুমোদন নেই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকও নেই।

উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর বেলা ১১টায় আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে হাসপাতালটির কর্মচারীদের মারধরের পর নিহত হন আনিসুল করিম শিপন। তিনি ৩১তম বিসিএস পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। গত ১০ নভেম্বর সকালে আদাবর থানায় তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।