• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

এক মাছের দাম ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২০  

কক্সবাজারের টেকনাফের বঙ্গোপসাগরের তীরে স্থানীয় জেলের বড়শিতে ধরা পড়েছে ২৮ কেজি ওজনের একটি রুপালি পোয়া মাছ। স্থানীয় ভাষায় এ মাছটি কালা পোয়া নামে পরিচিত। মাছটি লম্বা প্রায় সাড়ে তিন ফুট। বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকায়।

রোববার (০৬ ডিসেম্বর) উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাঙ্গার পাড়ার বাসিন্দা মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মুজিব উল্লাহর বড়শিতে এ মাছটি ধরা পড়ে। মাছটিতে এমন কি রয়েছে যা এত দামে বিক্রি হলো। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে না পারলেও সবাই বলছেন, মাছটির ফুসফুস বা ফদানার কারণে এত দাম।

জেলে মুজিব উল্লাহ বলেন, নৌকা নিয়ে আমরা তিনজন শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকারে যাই। ওই সময় একসঙ্গে ১০টি বড়শি সাগরের নিক্ষেপ করে নৌকায় বসে ছিলাম। এ সময় বড়শিতে ৭ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ ধরা পড়ে। এর মধ্যে আরেকটি বড়শিতে বারবার টান দিচ্ছিলেন। মনের মধ্যে ধারণা হলো বড় কিছু বড়শিতে লেগেছে। বড়শি টেনে কাছে আনতে বড় মাছ দেখে আমরা আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়ি। পরে নৌকা নিয়ে ফিরে আসি তীরে।

তীরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বড়শিতে বড় মাছ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে পশ্চিমপাড়া মৎস্য ঘাটে এসে পৌঁছালে উৎসুক জনতা মাছটি দেখতে ভিড় জমান। পরে বড়শির মালিকের কাছ থেকে এক লাখ ৯১ হাজার টাকায় শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়া মোহাম্মদ আমিনের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল মাছটি কিনে নেন।

মাছ ক্রেতা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, মাছটি ভালোভাবে বরফ দিয়ে কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে পাঠানো হয়েছে। এ মাছের ফদানার দাম অনেক বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম নেওয়া যায় কিনা সেখানকার ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

ইসমাইল বলেন, তিনি ঝুঁকি নিয়ে মাছটি কিনেছেন। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী পিকে দাশের কাছে তিনি মাছটি বিক্রি করবেন। তিনি বিদেশে মাছ ও মাছের ফদানা রফতানি করে থাকেন। যদি ফদানা বা ফুসফুসটির ওজন ৯০০ থেকে ৯৫০ গ্রাম হয় তবে এটি বিক্রি করে লাভ হবে। আর ওজন কম হলে লোকসান গুনতে হবে।

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে ২৮ কেজি ওজনের বড় পোয়া মাছটি ধরা পড়ার খবরটি শুনেছি। সাধারণত এত বড় পোয়া মাছ সহজে ধরা পড়ে না।

তিনি আরও বলেন, পোয়া মাছের বায়ুতলী বা এয়ার ব্লাডারের কারণে মাছটির মূল্য অনেক। এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের অপারেশনাল সুতো তৈরি হয় বলে মাছটির এত দাম বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।