একটি ব্যাগ হাতছাড়া করতেন না খুনি মাজেদ
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২০
কলকাতার রিপন স্ট্রিটের বেডফোর্ড লেনের একটি বাড়িতে দীর্ঘ ১৯ বছর ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি আব্দুল মাজেদ। অবাঙালি মুসলিম অধ্যুষিত এ এলাকায় মাজেদের পরিচিতি ছিল আলি আহমেদ নামে। ইংরেজির শিক্ষক। বেডর্ফোড লেনের ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শেখাতেন।
৭ এপ্রিল ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেফতারের পর পরদিন কলকাতার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখে বেডফোর্ড লেনের বাসিন্দারা চমকে ওঠেন। বুঝতে পারেন ৭২ বছরের ইংরেজি শিক্ষক আসলে বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদ। তাতে যে এলাকাবাসীর কোনো মাথাব্যথা নেই তা বোঝা গেলো যখন মাজেদের বাসা লাগোয়া দোকানিও বলে দিলেন ‘জানি না, খুঁজে নিন’। এমনকি ছবি দেখালেও অনেকেই চিনতে অস্বীকার করেন।
‘এখানে ১৯ বছর ধরে ছিলেন মাজেদ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। এলাকার ইংরেজির মাস্টারমশাই। কোনোদিন মহল্লায় ঝগড়া-আশান্তি করেননি। ধর্মীয় চাঁদা বা সামাজিক কারণে চাঁদা কোনো কিছুতেই কার্পণ্য করেননি। তো আমরা তাকে খারাপ বলি কী করে।’
এমন বক্তব্য এলাকাবাসীর। আর এলাকায় ঢুকতেই কয়েকশ লোক ঘিরে ধরার মধ্যেও ছিল রহস্য। পরে পুলিশের সহায়তায় সে সমস্যার সমাধান হয়।
পার্কস্ট্রিট পুলিশ সূত্র জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় চিকিৎসার জন্য বাসা থেকে বের হন মাজেদ। এরপর আর ফিরে আসেননি। কোনোদিনই এরকম করেননি। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হয়ে স্ত্রী ২৩ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। তদন্ত শুরু করে পার্ক স্ট্রিট থানা। পুলিশ মাজেদের ভাড়া বাড়ি থেকে একটি ব্যাগ পায়। সেই ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি সিম কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার আইডি, ভারতীয় পাসপোর্ট ও ঢাকার একটি পরিবারের ছবি পায়। ওই ব্যাগ নাকি কাছ ছাড়া করতেন না মাজেদ। টাকা-পয়সা সব ওই ব্যাগেই থাকতো। এমটাই মত এলাকার লোকেদের।
খুব একটা বাসা থেকে বের হতেন না মাজেদ। এলাকার নির্দিষ্ট একটি চায়ের দোকান থেকেই চা খেতেন। এর বাইরে আর কোনো চায়ের দোকান থেকে চা খেতে দেখেনি কেউই। কাঁচাবাজার করতেন এলাকার ভেতরেই। সরকারি রেশন দোকান থেকে নিতেন চাল, ডাল, তেল, নুন ইত্যাদি। প্রাইভেটে কোনোদিন নিজের ও পরিবারের চিকিৎসাও করাননি। যা করাতেন কলকাতার সরকারি হাসপাতাল থেকে।
এলাকাবাসী জানান, স্পষ্ট ইংলিশ ও হিন্দি বলতে পারতেন। বরঞ্চ বাংলাটাই ভালোভাবে বলতে পারতেন না। তবে মাজেদের হাতে খুব বেশি শিক্ষার্থী ছিল না এবং তা থেকে যা পারিশ্রমিক আসতো তা দিয়ে পরিবার চালানোটাই কঠিন। তাহলে চলত কী করে? আলি আহমেদ ওরফে আব্দুল মাজেদের ছিল আরও একটি ব্যবসা। অনেকের মতে তা ছিল সুদের ব্যবসা। আবার অনেকের মতে দুই দেশের মধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতেন মাজেদ।
মাজেদের ঘনিষ্ঠ বলতে এলাকার ভেতরে এক ওষুধ দোকানের মালিক। তার সঙ্গেই সময় কাটাতেন। এলাকাবাসীর কয়েকজনের মত, অনেক কিছুই জানতে পারেন ওই ওষুধ দোকানের মালিক। কিন্তু তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন মাজেদের খবর জানাজানির পরপরই।
যে বাড়িতে মাজেদ থাকতেন সে বাড়ির মালিকের নাম শফিক। বাড়িটি চারতলা। প্রতি তলায় চারটি করে রুম। বাইরে কোনো প্লাস্টার নেই, ইট খসে পড়ছে। ভিতরের অবস্থাও একই। সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে দেখা যায় মাজেদ যেখানে থাকতেন সে রুমে তালা ঝোলানো। দরজা আবার কলাপসিবল গেট। ভিতরে পর্দা।
শফিক জানান, তার বাড়ির দোতলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন আব্দুল মাজেদ। পরিবার বলতে মাজেদের থেকে ৩২ বছরের ছোট স্ত্রী সেলিনা বেগম ও তাদের ছয় বছরের মেয়ে। বিয়ের আগে তালতলার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মাজেদ। বিয়ের পর তার বাসায় ওঠেন। পরিবারের কেউই সেভাবে পাড়ায় মেলামেশা করতেন না। খুব কম সময়ের জন্য বেরোতেন মাজেদ। বাসার গেটে সব সময় থাকতো তালা। বাইরের কেউেই কোনোদিন বাসার ভেতরে যায়নি।
এমনকি মাজেদের পাশের রুমের ভাড়াটে দৌলত আলমের কথায়, কোনোদিন সেভাবে কথা বলতে দেখিনি। যাতায়াতের পথে সেলাম ছাড়া কিছুই কথা হতো না। ঈদের সেমাই কোনোদিন দেওয়া-নেওয়া হয়নি। আমরা ভাবতাম, মহল্লার মুরুব্বি আদমি আছে তাই বেশি ঘাটাতাম না। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় কারণে চাঁদা চাইলে কোনোদিন নাও করেননি।
শফিক জানান, তার জানা মতে বাসার ভিতরে সেরকম কোনো আসবাবপত্র ছিল না। মাজেদের বসবাস কালে শফিকও নিজেও কোনোদিন রুমের ভেতরে ঢুকতে পারেননি। তবে প্রতি মাসের ভাড়া ঠিকঠাক দিয়ে দিতেন। মাজেদের শ্বশুরবাড়ি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। আব্দুল মাজেদ চলে যাওয়ার পর, তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে যায় এবং রুমে তারাই তালা দিয়ে যায়।
কলকাতার প্রশাসনিক সূত্র জানায়, পরিচয় গোপন করে মাজেদ লিবিয়া থেকে প্রথমে এলিয়ট রোড সংলগ্ন তালতলায় ছিলেন ৪ বছর। পরে ভিন্ন মতলবে বিয়ে করেন উলুবেড়িয়ার এক মেয়েকে। একে একে নাগরিকত্বসহ নিজের নামে রেশন, ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট সবই বানান। তার মোবাইলে বঙ্গবন্ধুর পলাতক অন্য খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য রয়েছে। ভারতের বহুল আলোচিত এনআরসি ইস্যুতেও এলাকার নেতৃত্ব দেন মাজেদ।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের নতুন তালিকা প্রকাশ করলো ফোর্বস
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?