• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

এবার ভারত থেকে কোরবানির গরু আনবে না বাংলাদেশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২০  

আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির গরুর বাড়তি চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরু না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অন্যান্য বছর কোরবানির আগে সীমান্তে ‌‌'বিট খাটালের' মাধ্যমে গরু কেনাবেচা হলেও এবার ঈদের আগে সীমান্তে ‘বিট খাটালের’ অনুমতি দেয়নি সরকার। শিল্প মন্ত্রণালয় অনলাইনে আয়োজিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী।

তিনি বলেন, এবার দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদিপশুর ভালো দাম পান, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।

সভায় জানানো হয়, আগামী বুধবার কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন উদ্যোগে মসজিদের ইমাম, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী, চামড়া ছড়ানো ও সংরক্ষণে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। করোনার পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে কোরবানি দেওয়া এবং চামড়া সংরক্ষণে তথ্য মন্ত্রণালয় ও লেদার বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা কার্যক্রম চালাবে।  

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, বিগত কয়েক বছরে পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে এক কোটি ১০ লাখের মতো পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এর মধ্যে গরু-মহিষ থাকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। দেশীয় খামারিদের গরু-মহিষ দিয়েই চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে এবার পশু কোরবানি কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।    

সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে চামড়া শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে ট্যানারি মালিক, আড়াতদার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খাত সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় ফরিয়া, মৌসুমী ও সাধারণ ক্রেতাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি শহর থেকে গ্রামে যারা গেছেন তাদের এ সুবিধা দিলে এগিয়ে আসবেন। সবাই উৎসাহিত হয়ে চামড়া কিনবেন। চামড়া কেনাবেচায় লাভ করার সুযোগ দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।