• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

এশিয়া মহাদেশেই রয়েছে অ্যাভাটারের সেই ‘রহস্যঘেরা’ পাহাড়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০১৯  

মার্কিন পরিচালক জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ বক্স অফিসের বিচারে হলিউডের সবচেয়ে সফলতম ছবি। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া হলিউডের এই ছবিটির সিক্যুয়েলের অপেক্ষায় রয়েছে সিনেমাপ্রেমীরা।

সফলতম এই ছবিটিতে দেখানো হয়েছে অ্যানিমেশনের দারুণ সব চমক। এছাড়া ছবির বেশ কয়েকটি দৃশ্যে স্তম্ভের মতো লম্বা লম্বা রহস্যঘেরা পাহাড় চোখ এড়ায়নি দর্শকদের। ছবিতে এগুলোকে বলা হয়েছিলো ‘প্যান্ডোরার পাহাড়’। তবে বিচিত্র এই অঞ্চলটি দেখে মনে হবে এটি হয়তো কম্পিউটারের কারিশমা অথবা ভিন গ্রহের কোন পাহাড়।

কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে এই পাহাড় কম্পিউটারের কিংবা ভিন গ্রহের কোন পাহাড় না। এই বিচিত্র অঞ্চলটি পৃথিবীর বুকেই এবং তা এশিয়া মহাদেশেই। বাস্তবের এই প্যান্ডোরার পাহাড় রয়েছে চীনের হুনান প্রদেশের ঝাংজিয়াজিতে।

চীনের ঝাংজিয়াজিতে রয়েছে তিয়ানজি পর্বতমালা। বিখ্যাত হলিউড চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন এই তিয়ানজি পর্বতমালাকে দেখেই প্যান্ডোরার পাহাড়গুলোর নকশা তৈরি করেছিলেন তার ‘অ্যাভাটার’ ছবির জন্য।

 

 

তিয়ানজি এই চীনা শব্দটির অর্থ হলো স্বর্গের পুত্র। চতুর্দশ শতকের চীনা তুজিয়া আদিবাসীর নেতা শিয়াং ডাকুনুর নামানুসারে এই পর্বতমালার নাম তিয়ানজি হয়েছে। শোনা যায়, শিয়াং ডাকুনুর ডাক নাম ছিল ‘তিয়ানজি’।

স্তম্ভের মতো দেখতে এই পাহাড়গুলোর সর্বোচ্চ স্তম্ভটির উচ্চতা ১২১২ মিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ওই স্তম্ভটির উচ্চতা ৪১৪০ মিটার। অদ্ভুত গঠনের জন্য এগুলোকে পাহাড়ের পরিবর্তে ‘স্তম্ভ’ হিসেবে উল্লেখ করেন ভূতত্ত্ববিদরা। 

স্তম্ভের মতো দেখতে এই পাহাড়গুলো কোয়ার্টজ স্যান্ডস্টোন দিয়ে তৈরি। বছরের পর বছর ধরে পাথরের ওপর পলি জমে এখানে পাইন গাছ জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পাহাড়ের গায়ে পাইন গাছের জঙ্গল দেখা যায় এই অঞ্চলে।

 

 

শীতকালে এই অঞ্চলটি পুরু বরফের চাদরে ঢেকে যায়। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য এই অঞ্চলে ২০৮৪ মিটারজুড়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। ‘অ্যাভাটার’ ছবি মুক্তির পর এই অঞ্চলটি দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি পর্যটক এই অঞ্চলে আসেন প্যান্ডোরার পাহাড়গুলোর টানে। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, প্রায় ৩০ কোটি বছর আগে এই জায়গাটিতে ছিল সমুদ্র।