• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

কঙ্গোতে তরুণ-তরুণীদের ভাগ্য বদলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২০  

কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত কঙ্গোর কয়েক হাজার তরুণ তরুণীর আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা পাল্টে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা। তারা জানিয়েছেন, তথ্য-প্রযুক্তির হাতে কলমে শিক্ষা সে দেশের তরুণদের বিপথে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করছে।

আয়তনে বাংলাদেশের ১৬ গুণ বড়, খনিজ সম্পদে দুনিয়ার সব চাইতে ধনী কিন্তু অর্থনীতিতে ঠিক তার উল্টো ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। দুই দশক ধরে দেড় শতাধিক মিলিশিয়া বাহিনীর হানাহানিতে বিধ্বস্ত এ দেশের যত্রতত্র প্রকট চরম দীনতার ছাপ।

এ বাস্তবতায় মিলিশিয়াদের সঙ্গে লড়াই চালানোর পাশাপাশি কঙ্গোলিজদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে প্রত্যন্ত কয়েকটি এলাকায় কারিগরী শিক্ষা দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা। বুনিয়া প্রদেশের এ কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রিক সামগ্রীর নানা প্রক্ষিণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার কথা জানালেন উপকারভোগীরা।

এক তরুণী জানান, এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন আমি একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। আমার জীবন বদলে গেছে। আরেক তরুণ বলেন, আমাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ।

কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের মেজর ইকরাম বলেন, আমাদের এখানে কোর্স করার পর তারা যে যোগ্যতা অর্জন করেছে তার আলোকে তারা বাইর চাকির পাচ্ছে এবং ব্যবসা শুরু করতে পারছে।

ইতুরি প্রদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কারিগরি প্রশিক্ষণগুলো বেকারত্ব সমাধানে ভূমিকা রাখছে।

আরেকটি কেন্দ্র থেকে তথ্য-প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন কেউ কেউ। সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি এ ধরণের উদ্যোগের কারণে পুরো কঙ্গোতেই প্রশংসিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা। আরেক তরুণী বলেন, এখানে মোবাইল সারাই করা হচ্ছে। মাসে ৩০০ ডলার আয় হচ্ছে।

বাংলাদেশি মেজর হাবিব বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি, আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে প্রায় এক হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছে।