• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ইতিহাসের এই দিনে

কথাসাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের জন্ম

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০  

 


ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।


ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।

১২ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার। ২৬ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এইদিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৩৬৫- ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৯৯- অস্ট্রিয়া ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৮৯৪- যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকা কোলা বিক্রি শুরু হয়।
১৯০৪- যুক্তরাজ্যে প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়।
১৯৩০- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৬৮- দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ মরিশাস ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬৯- সুপারসনিক যাত্রীবাহী প্লেন কনকর্ড প্রথম আকাশে উড়ে।
১৯৭২- ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদায়ী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

জন্ম
১৪৭৯- ফ্লোরেন্সের সম্রাট সম্রাট গিওলিয়ানি।
১৬৮৫- আইরিশ বিজ্ঞানী জর্জ বার্কলি।
১৮৮৪- বাঙালি সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট আইনজীবী অতুলচন্দ্র গুপ্ত।

তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে রোমান ল’ ও জুরিসপ্রুডেন্সের অধ্যাপক ছিলেন। অতুলচন্দ্র প্রধানত আইনজীবী ও রসতত্ত্বের ব্যাখ্যাকার হিসেবে প্রসিদ্ধ লাভ করলেও সমাজ, শিক্ষা, ইতিহাস, রাজনীতি প্রভৃতির আলোচনায়ও অসাধারণ পরিচয় দেন। ১৮১৮ সালে Trading with the Enemy নামে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অনাথনাথ দেব পুরস্কার’ লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডিএল উপাধি লাভ করেন। রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে, দুস্থ ছাত্রদের শিক্ষাকল্পে এবং গরিব রোগীদের চিকিৎসার্থে তিনি প্রচুর অর্থ দান করেন।

১৯১১- বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবু জাফর শামসুদ্দীন।

তিনি ছিলেন একজন ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল লেখক। উপন্যাস, ছোটগল্প ও মননশীল প্রবন্ধ লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তার রচিত ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ বাংলা সাহিত্যের একটি অনন্য গ্রন্থ। এছাড়াও তার রচিত বেশ কিছু গ্রন্থ ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, মারাঠি, জাপানি ভাষায় অনুবাদ ও প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯২৮- বাংলাদেশের টিভিব্যক্তিত্ব ফজলে লোহানী।

বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘যদি কিছু মনে না করেন’-এর উপস্থাপক হিসেবে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।

১৯৩৫- বাংলাদেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক রেহমান সোবহান। তিনি গবেষণা সংস্থা ‘সিপিডি’র সভাপতি।
১৯৩৬- বাংলাদেশের একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, কবি এবং লেখক আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

মৃত্যু
১২৮৯- জর্জিয়ার রাজা দ্বিতীয় দিমিত্রি।
১৯৩৭- ব্রিটিশ সাহিত্যিক ক্রিস্টোফার কডওয়েল।
১৯৬০- পণ্ডিত ও প্রাবন্ধিক ক্ষিতিমোহন সেন।
১৯৮৮- কথাশিল্পী সমরেশ বসু।

তার রচনায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও যৌনতাসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সুনিপুণ বর্ণনা ফুটে ওঠে। ১৯৮০ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৩- বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক, স্পার্টাকাসের লেখক হাওয়ার্ড ফাস্ট।