• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

‘করোনা’ গুজব ঠেকাতে ফেসবুকের সমন্বিত উদ্যোগ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০  

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ইস্যুতে গুজব ঠেকাতে সমন্বিত উদ্যোগ চালু করার ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এজন্য মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুক ইন-করপোরেশন ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রামে একত্রে কাজ শুরু করেছে।

সম্প্রতি ফেসবুকের নিউজরুম সেকশনে করোনা ইস্যুতে গুজব ঠেকাতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা জানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করার পর থেকেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে সঠিক তথ্যে বিতরণ এবং ভুল তথ্যের বিস্তার রোধে কাজ করে যাচ্ছি। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রামে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েও কাজ করা হচ্ছে।
 
ব্যবহারকারীদের সঠিক তথ্য দিতে ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামের নিউজ ফিডের শুরুতেই হু এর বিভিন্ন নীতিমালা ব্যবহারকারীদের সামনে তুলে ধরছে ফেসবুক। এজন্য ফেসবুকসহ অন্য প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনির্দিষ্ট সংখ্যক বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। 

ফেসবুক বলছে, বিশ্বের প্রায় এক বিলিয়ন ব্যবহারকারী ফেসবুকের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে করোনা সম্পর্কিত তথ্য পেয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি গ্রাহক সরাসরি হু এর লিংকে ক্লিক করে তাদের পরামর্শগুলো পেয়েছে।
 
করোনা সম্পর্কিত তথ্য বিস্তারের জন্য ফেসবুক এবং হোয়াটস অ্যাপে সপ্তাহখানেক আগে ‘তথ্য কেন্দ্র’ চালু করা হয়েছে বলেও জানায় ফেসবুক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি চালু হয়েছে এবং বাকি দেশগুলোতেও দ্রুত চালু করা হবে।
 
সঠিক তথ্য প্রচারের পাশাপাশি গুজব ঠেকাতেও কাজ করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এজন্য ২০১৮ সালে প্রণীত নিজেদেরই এক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানটি। সেবছর নিজস্ব এলগারিদম ব্যবহার করে পাকিস্তানে পোলিও সংক্রান্ত গুজব বিস্তার সামাল দিয়েছিল ফেসবুক। একই এলগারিদম ব্যবহার করে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত গুজব ঠেকানো হচ্ছে বলে জানায় ফেসবুক।
 
ভুল তথ্য বা গুজব এমন নজরে আসা প্রায় সব ধরনের পোস্ট ইতোমধ্যে সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে ফেসবুক। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ের সত্যতা খতিয়ে দেখতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্কের সঙ্গেও কাজ শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এজন্য সংস্থাটিকে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানও দিয়েছে ফেসবুক। ৪৫টি ভাষায় আসা বিভিন্ন ধরনের পোস্টের সত্যতা খতিয়ে দেখবে ৫৫টি ফ্যাক্ট চেকিং অংশীদার।
 
ফ্যাক্ট চেকিং অংশীদাররা যেসব পোস্ট ‘অসত্য’ বা ‘ভুল’ বলে চিহ্নিত করবেন সেসব পোস্টের বিস্তার প্রথমেই সীমিত করে দেবে ফেসবুক। একই সঙ্গে সেসব পোস্ট যেসব ব্যবহারকারী দেখেছেন তাদের সতর্ক করার পাশাপাশি সেগুলো যদি কেউ শেয়ার করে থাকেন তবে শেয়ারকারীকেও বার্তা এবং নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সতর্ক করা হবে।
 
এছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপ চ্যাট বা প্রাইভেট গ্রুপের মাধ্যমেও যেন গুজব না ছড়ায় সেজন্য একটি আইডি থেকে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করা এবং বিভিন্ন চ্যাট গ্রুপে বার্তা পাঠানোর সংখ্যাও সীমিত করে দিয়েছে ফেসবুক।