• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

কলারোয়ায় প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২১  

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পৌরসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই বিএনপি কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সাতক্ষীরার তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের গাড়িতে হামলা হয়েছে। গাড়িতে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল এবং ছেলে ও মেয়ে ছিলেন। তবে তারা অক্ষত রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দু’গ্রুপের কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটে। এক মামলায় ২৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্কের শেষ দিনে সাতক্ষীরা আদালতে হাজিরা দিতে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব নিজ প্রাইভেটকারে সকালে কলারোয়ার বাড়ি থেকে রওনা হন। এ সময় কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের সামনে পৌঁছালে কলারোয়া পৌরসভার মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলামের সমর্থকরা তার গাড়িতে ভাঙচুর শুরু করেন। একই সময়ে হাবিব সমর্থিত বিএনপি প্রার্থী তুহিনের কর্মীরা এসে তাদের ওপর হামলা চালালে দুই বিএনপিকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পর থেকে কলারোয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলাম গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাকে এবার মনোনয়ন দেয়া হয়নি। সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব নিজের আত্মীয়কে এবারের পৌরসভায় দলীয় মনোনয়ন পেতে সহযোগিতা করেছেন। দলকে তিনি সব সময় নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কোনো কথা বলতে পারেন না।

এ বিষয়ে জানতে আক্তারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আমার কয়েকজন সমর্থক হাবিবকে দেখে উত্তেজিত হয়ে যান। তবে আমি বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বিএনপির দলীয় মেয়রপ্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিনের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আমার কয়েকজন কর্মীর বাড়ি ও দোকানে হামলা করেন। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

কলারোয়ার বিএনপি দলীয় মেয়রপ্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. আক্তারুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার সমর্থকরা এই হামলা চালান। হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্রদল কর্মী রাজন।

কলারোয়া থানার ওসি খায়রুল কবির জানান, তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ না পেলেও ঘটনাটি শুনেছেন। বিএনপির একটা অংশের কর্মীরা এই হামলা চালায় বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত সাবেক মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নারগিস সুলতানা। অপরদিকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন শরিফুজ্জামান তুহিন।