• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

কাউখালী ইউএনওর ভ্রাম্যমাণ বাজার যাচ্ছে গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২০  

পিরোজপুরের কাউখালীতে চলমান করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মানুষকে ঘরে অবস্থান ও বাজারমুখী জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। ঘরবন্দী মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী গৃহস্থের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি চালু করেছেন ভ্রাম্যমান বাজার। গতকাল শুক্রবার থেকে দুটি ট্রাকে এ ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। একটি ট্রাকে চাল,ডালসহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্য আর অন্যটিতে তরকারির ভ্রাম্যমান বাজার গৃহস্থের দোরগোড়ায় সুলভ মূলে পৌঁছে দিচ্ছে এ ভ্রাম্যমাণ গাড়ি।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, চলমান সংকটে স্থানীয় ব্যবসায়ি ও উদ্যোক্তা নানা মানুষের কাছে সহায়তা চান ইউএনও । এতে স্থানীয় ব্যবসায়ি, নানা সামাজিক সংগঠন,মানবিক মানুষ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন । এভাবেই ইউএনও চালু করেন ভ্রাম্যমান বাজার। ট্রাক ভর্তি চাল,ডাল,চিনি,গুড়া দুধ,পিয়াজ,রসুন,আদাসহ নানা নিত্য ব্যবহার্য মসলাদির বাজার আর সেই সাথে অন্য একটি ট্রাকে দৈনন্দিন মানুষের কাঁচা বাজারের পসরা । যান্ত্রিক বাহনে এ ভ্রাম্যমান বাজার ছুটছে এখন গৃহস্থ বাড়ির দোরগোড়ায়। সুলভ মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে এসব পণ্য। বিক্রয়কৃত অর্থ দিয়ে আবার ক্রয় করা হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। করোনা সংকটকালে কাউখালী ইউএনওর এমন ভ্রাম্যামান বাজার উদ্যোগে স্থানীয় জনমানুষের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। আর এ কাজে সহায়তা করছে কাউখালী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ।
 

কাউখালীর সংস্কৃতিজন ও শিক্ষক নেতা সুব্রত রায় বলেন, মানুষকে বাজারের সমাগম এড়াতে এ সময় ই্উএনও মহোদয়ের এমন উদ্যোগ ব্যাতিক্রমী। এটি সাড়া ফেলছে মানুষের কাছে। আমরা সচেতনভাবে সকলে মিলে করোনা সংক্রমন থেকে বাঁচতে এমন মহতী উদ্যোগে সামিল হতে চাই।

এ বিষয়ে কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রবীণ সামাজিক উদ্যোক্তা আব্দুল লতিফ খসরু বলেন, করোনা সংকটের শুরুতেই আমাদের ইউএনও নানা সামাজিক উদ্যোগ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। যা জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংনীয়। ভ্রাম্যমান বাজার ব্যবস্থাপনা সময় উপযোগি তার অন্যতম একটি উদ্যোগ।

এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা বলেন, স্থানীয় নানা সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ি ও মানিবক ব্যক্তিরা আমাকে সহায়তা করে চলেছেন। করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় মানুষকে নিরাপদে ঘরে থাকা জরুরী। তারা বাজারমুখি হয়ে জনসমাগম সৃষ্টি করলে সংকট মোকাবেলা কঠিন হবে। তাই নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। মানুষ সাড়া দিচ্ছে আমরা ভ্রাম্যমাণ বাজার ব্যবস্থাপনার আরও পরিসর বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে মানুষ এসময়ে ঘরে বসে নিত্য বাজার সেবা পান।