• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ ও লক্ষণ, বাঁচতে যা করবেন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২০  

শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। শরীরে জমে থাকা অনেক বর্জ্য পরিশোধিত হয় এর মাধ্যমে। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গের রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে বড় একটি রোগ হলো কিডনিতে পাথর।

কিডনিতে পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না। তাই কিডনির পাথরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানতে পারলে বুঝা যায় পাথর কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে।

কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ

>> কোমরের পেছন দিকে ব্যথা হওয়া। এ ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
>> রক্তবর্ণের প্রস্রাব।
>> বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।

কিডনিতে পাথর জমার কারণ

কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন :

>> শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি পান করা।
>> বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা।
>> অত্যধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
>> শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।

ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন

>> কিডনি পাথরের ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
>> কখনও প্রস্রাব আটকে বা চেপে রাখবেন না। প্রস্রাবের বেগ এলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাব করার।
>> পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার খান।
>> দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভালো।
>> বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসা

কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রস্রাব হলে চিকিৎসকরা সাধারণত দুটি চিন্তা করেন। একটি হলো- কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাম এবং প্রস্রাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়।