• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

কুবি’র ১ম সমাবর্তন কাল, সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে' মনে মনে এই গানটি গাওয়া শিক্ষার্থীতে ভরে গেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচেয়ে বড় উৎসব আগামীকাল সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তন। শিক্ষাজীবনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার দিন। যেদিন কালো গাউন আর টুপিতে সাজেন শিক্ষার্থীরা। 

বাংলা বিভাগের সমাবর্তন শিক্ষার্থী নমিতা দেবনাথ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস আমার মাতৃভূমির মতো। ক্যাম্পাস ছেড়েছি অনেক দিন, তবুও এখনো যখন রাস্তায় ক্যাম্পাসের বাসগুলো দেখি তখনই এখানের স্মৃতি খুব মনে পড়ে। আর ছোটবেলা থেকেই সমাবর্তন নিয়ে নিজের মাঝে আলাদা একটা অনুভূতি ছিল। আমার সে অনুভূতি পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে কাল। বিশ্ববিদ্যালয় মানে যে বিশ্বকে ছোঁয়া, সেটা সমাবর্তন নেওয়ার মাধ্যমে অনুধাবন করতে পারছি।’

সমাবর্তনের দিনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও বড় আকর্ষণ আগের দু'একদিন। এ সময় একই সাজে সাজা শিক্ষার্থীরা নানান ভঙ্গিতে ছবি তোলেন। কেউ কেউ নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেন। নিজেদের গাউন ক্যাপ তাদের বাবা মা কিংবা সন্তানকে পড়িয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন অনেকে।

২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সায়েদ মাখদুম উল্লাহ বলেন, ‘সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করার আনন্দ অসীম। তবে একইসাথে বেদনারও বটে। সমাবর্তন মানে বিচ্ছেদ। আনুষ্ঠানিক বিদায়ের এই দিন আমি ক্যাম্পাস জীবনের সব স্মৃতি মনে করছি। সিনিয়র জুনিয়র সবার প্রতি শুভকামনা।’

সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করা এক শিক্ষার্থীর মা শিখা সেনগুপ্তা বলেন, ‘এই মহা মিলনমেলার অংশ হতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। এ আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। সকল গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক অনেক আশির্বাদ রইল।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ হতে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ ও স্নাতকোত্তর ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনের আওতাভুক্ত। সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সভাপতিত্ব করবেন। অর্থমন্ত্রী আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং গ্লোবাল ফিন্যান্স অব দ্য ইয়ার আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ। 

সমাবর্তনের মাধ্যমে ৬টি অনুষদের মোট ৫৬৪৮ জন শিক্ষার্থীকে মূল সনদ প্রদান করা হবে। তন্মধ্যে স্নাতক পর্যায়ের ৩৫৬১ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২০৮৭ জন। অনুষদভিত্তিক সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা (১) বিজ্ঞান অনুষদে মোট ১০০২ জন (স্নাতক: ৬৬১ জন, স্নাতকোত্তর: ৩৪১ জন), (২) কলা ও মানবিক অনুষদে মোট ৮৬৩ জন (স্নাতক: ৫২৮ জন, স্নাতকোত্তর: ৩৩৫ জন), (৩) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে মোট ১৪০৫ জন (স্নাতক: ৮৭৬ জন, স্নাতকোত্তর: ৫২৯ জন), (৪) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে মোট ১৯৩৮ জন (স্নাতক: ১১৬৭ জন, স্নাতকোত্তর: ৭৭১ জন), (৫) প্রকৌশল অনুষদে মোট ৪৪০ জন (স্নাতক: ৩২৯ জন, স্নাতকোত্তর: ১১১ জন)।

সমাবর্তনে মোট ২৮৮৮ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। এ ছাড়াও সমাবর্তনে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবেন।