• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

কোন্দলের বলি নেতাদের ‘গুম’ দাবি করে গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০  

 


প্রতিহিংসা ও গুজবের পুরনো রাজনীতির ধারা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এরই ধারাবাহিকতায় পুরনো একটি ইস্যু ফের সামনে এনে সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে উসকে দেয়ার অপচেষ্টা করছে দলটি। সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি সমর্থিত ফেসবুক পেজ ‘আন্দোলন টিভি’ও বিভিন্ন পেজে গুমের একটি ভিডিও দিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

এতে কিছু ব্যক্তির স্থিরচিত্র দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের সাদা পোশাকের পুলিশ অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর আর খোঁজ মিলেনি। অথচ পুরো ঘটনাকে মিথ্যাচার বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গণমাধ্যম গবেষকরা।

ভিডিওতে দেখা গেছে, ইলিয়াস আলীকে ২০১২ সালে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, মূলত বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হয়েছেন তিনি। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইলিয়াস আলী গ্রুপের সঙ্গে বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের গ্রুপের দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। সেই দ্বন্দ্বের ফলাফল হচ্ছে- ইলিয়াস আলীকে নিখোঁজ করে দেয়া। এ ব্যাপারের সরকারের পক্ষ থেকেও তদন্ত চলছে। যদিও তাতে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

এছাড়া বিএনপির সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরুর কথাও বলা হয়েছে ভিডিওতে। তিনি কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত এমপি ছিলেন। তার গুমের ব্যাপারে কুমিল্লার সবাই জানে যে কীভাবে দলীয় প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে তাকে। বিএনপির কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় ২০১৩ সালে তাকে দলের অপর পক্ষ খুন করেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন ও স্থানীয়রা বলছেন। যদিও তার লাশ পাওয়া যায়নি।

ভিডিওতে অত্যন্ত হাস্যকরভাবে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোবাশ্বের হাসানকে গুমের কথা বলা হয়েছে। অথচ তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এবং নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। মাঝে কিছুদিন মোবাশ্বের হাসানের খোঁজ না থাকলেও তিনি ফিরে এসে এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। ধারণা করা হয়, পরিবারের ওপর রাগ করে তিনি কিছুদিন দূরে কোথাও থেকে এসেছেন।

এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতার ছবি দিয়ে ভিডিওতে বলা হয়েছে, সরকারি বাহিনী তাদের গুম করেছে! কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, তারা বিএনপি শাসনামলে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন। পরেও সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে সারাদেশে সহিংসতা সৃষ্টিতে জড়িত ছিলেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই আইনের হাত থেকে বাঁচতে সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া ও লিবিয়া হয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে যাত্রা করেন। বেশিরভাগ বিএনপি নেতাই বঙ্গোপসাগর ও ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবিতে মারা যান। এই খবর তখন লিবিয়া ও ইতালির সব গণমাধ্যমেই এসেছে।

এর বাইরে দুই জামায়াত নেতার ছেলেকেও গুম হিসেবে দাবি করা হয়েছে। অথচ তারা দুইজনই বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন। এমনকি নিয়মিত বিএনপির লন্ডন অফিসেও তাদের যাতায়াত রয়েছে বলে জানা গেছে।

এভাবে মিথ্যাচার ছাড়ানোর ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘এটা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। এই রাজনীতি থেকে তারা আর বের হয়ে আসতে পারবে বলে মনে হয় না।’ তবে এ ধরনের গুজবে কান না দিতে দেশবাসীকেও সতর্ক করেছেন তারা।