• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

কোভিড -১৯ এর প্রাথমিক লক্ষণ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২০  

চীন থেকে বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মরণব্যাধি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩৫টিরও বেশি দেশের মানুষ ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে এই মরণব্যাধিতে। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির সংক্রমণে মারা গেছে ৫ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ। কিন্তু এই ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে আমাদের অনেকেই হয়তো জানি না। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ এবং কিভাবে তা পরিবর্তিত হয়ে চূড়ান্ত রূপ লাভ করে সে সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তা তুলো ধরা হল-

করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ: 

প্রথম দিন-তৃতীয় দিন

১. সর্দি-কাশির মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
২. হালকা গলা ব্যথা।
৩. জ্বর থাকবে না, ক্লান্তও অনুভূত হবে না। এই সময়ও রোগী স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ ও পান করতে পারে।
 
চতুর্থ দিন: 

১. গলায় কিছুটা ব্যথা অনুভূত হয়, শরীর মাতাল ভাব অনুভব করে।
২. কণ্ঠস্বরে ব্যথা অনুভূত হয়।
৩. শরীরের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৩৬.৫ ডিগ্রি।
৪. খাদ্যাভাসে সমস্যা দেখা দেয়।
৫. হালকা মাথা ব্যথা অনুভূত হয়। এবং
৬. হালকা ডায়রিয়া দেখা দেয়। 
 
পঞ্চম দিন
১. গলা ব্যথা হয় এবং কণ্ঠস্বর ভেঙে যায়।
২. শরীরের তাপমাত্রা ৩৬.৫ ডিগ্রি -৩৬.৭ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
৩. শরীর দুর্বল এবং জয়েন্টগুলিতে ব্যথা  অনুভূত হয়।
 
ষষ্ঠ দিন
১. হালকা জ্বর শুরু হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৩৭ ডিগ্রি।
২. শুকনো কাশি দেখা দেয়।
৩. খাবার খাওয়া বা গিলা এবং কথা বলার সময় গলায় ব্যথা হয়।
৪. ক্লান্ত এবং বমি বমি ভাব হয়।
৫. মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। 
৬. আঙুলে ব্যথা অনুভব হয়।
৭. ডায়রিয়ার সাথে বমি হয়।
 
সপ্তম দিন
১. শরীরে অনেক জ্বর দেখা দেয় এবং তাপমাত্রা থাকে ৩৭.৪-৩৭.৮ ডিগ্রিতে।
২. অবিরাম কাশির সঙ্গে কফ পড়তে থাকে।
৩. শরীর ব্যথা এবং মাথা ব্যথা দেখা দেয়।
৪. ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এবং
৫. বমি হয়।
 
অষ্টম দিন
১. শরীরে জ্বর থাকে ৩৮ ডিগ্রি কিংবা এর উপরে।
২. শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয় এবং  প্রতিবার শ্বাস নেয়ার সময় বুক ভারি লাগে।
৩. অবিরাম কাশি হয়।
৪. মাথা ব্যথা, জয়েন্টগুলোতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। পাশাপাশি  নিতম্বে ব্যথা হয়।
 
নবম দিন
১. আগের লক্ষণগুলো অপরিবর্তিত এবং অবস্থা আরো খারাপ হয়।
২. জ্বর আরো তীব্র হয়।
৩. কাশি বৃদ্ধি পায়। 
৪. শ্বাস নিতে অসুবিধা এবং অনেক সংগ্রাম করতে হয়।
 
এই পর্যায়ে অবিলম্বে রক্ত ​​পরীক্ষা এবং বুকের এক্স-রে করার প্রায়োজন হয়।