• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

কোরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০১৯  


মুসলিমের জীবনে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সুতরাং কোরবানি যেন একমাত্র আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশেই হয়। অন্য কোনো উদ্দেশ্য যেন মুখ্য না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে তা আল্লাহর কাছে কোরবানি গৃহীত হবে না।
অংশীদারদের কারো নিয়ত যদি পরিশুদ্ধ না থাকে কিংবা কারো অর্থ যদি হালাল না হয়, তাহলে অন্য অংশীদারদের কোরবানিও নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং যাচাই-বাছাই করে অংশীদার নির্বাচন করা চাই।

মানুষকে নিজের ধনাঢ্যতা দেখাতে ও বিত্তের মহড়া দেওয়ার জন্য অনেকে কোরবানি দেন। কিন্তু এভাবে কোরবানি দিলে কোরবানি আদায় হবে না। নিদেনপক্ষে গোশত খাওয়া হয়। উপরন্তু এটি নিন্দনীয়, দৃষ্টিকটুও বটে।
এছাড়াও কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য অর্থকড়ি হালাল হওয়া আবশ্যক। হারাম অর্থ দিয়ে ইবাদত শুদ্ধ হয় না। হারাম অর্থে সওয়াবের আশা করাও গুনাহর কাজ। হালাল অর্থ দিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী ছোটখাটো পশুর ব্যবস্থা করেও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর না গোশত পৌঁছে, না রক্ত পৌঁছে; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭)