• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ক্রিকেটাররা কে কোন ক্যাটাগরিতে, কার কত বেতন ?

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের একটি চুক্তি হয় প্রতি মৌসুমেই। গত বছর বোর্ড কেন্দ্রীয় চুক্তি করেছিল ১০ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে। পরে সেখানে ‘রুকি’ শ্রেণিতে যোগ করা হয় তিন ক্রিকেটারকে। এ বছর সেই চুক্তিতে রুকি শ্রেণিতে ২ জনসহ মোট ৪ জন ক্রিকেটার বাড়িয়েছে বিসিবি। তারা হলেন—মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু জায়েদ, নাঈম হাসান ও খালেদ আহমেদ।

ফিরেছেন ইমরুল কায়েস আর রুকি শ্রেণি থেকে ‘বি’ শ্রেণিতে উঠেছেন লিটন দাস। এদের সঙ্গে গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা দশ ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, মুমিনুল হক, রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলামের নামও ঘোষণা করেছে বিসিবি।

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটার সংখ্যা বাড়লেও বেতন কাঠামোয় হয়নি কোনও পরিবর্তন। আগের বছরের মতো এবারও ‘এ প্লাস’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা পাবেন মাসিক ৪ লাখ টাকা করে, ‘এ’ শ্রেণিতে ৩ লাখ, ‘বি’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা ২ লাখ টাকা করে পাবেন। ‘রুকি’ শ্রেণির ক্রিকেটারদের সম্মানী ১ লাখ টাকা করে। 

তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কার বেতন কত-।

ক্যাটাগরি এ+
বেতন: মাসিক ৪ লাখ টাকা করে।
খেলোয়াড়: মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ।

ক্যাটাগরি এ
বেতন: মাসিক ৩ লাখ টাকা করে।
খেলোয়াড়: ইমরুল কায়েস, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।

ক্যাটাগরি বি
বেতন: মাসিক ২ লাখ টাকা করে।
খেলোয়াড়: মুমিনুল হক, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম।

ক্যাটাগরি রুকি
বেতন: মাসিক ১ লাখ টাকা করে।
খেলোয়াড়: আবু হায়দার, আবু জায়েদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাঈম হাসান, খালেদ আহমেদ।

অবশ্য এই বেতনই ক্রিকেটারদের প্রাপ্তির শেষ নয়। এর পাশাপাশি ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন। প্রতি টেস্টের ম্যাচ ফি সাড়ে ৩ লাখ। প্রতি ওয়ানডের ম্যাচ ফি ২ লাখ এবং টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার জন্য ক্রিকেটাররা পান পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার মতো।

এর বাইরে ক্রিকেটারদের আয়ের মধ্যে আছে বিপিএল বা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মতো টুর্নামেন্টে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলা থেকে পাওয়া আয়। কেউ কেউ বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও খেলে আয় করেন। বিভিন্ন পণ্যের দূত হিসেবে কাজ করেও বড় অঙ্কের আয় আসে ক্রিকেটারদের একাউন্টে।