• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

গনপিটুনিতে হত্যায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে পুলিশের উপস্থিতিতে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলায় আদালতে দায়ের করা ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত কোম্পানীগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম শেখসহ পলাতক ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী আমলি আদালত-২ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান দায়ের করা চার্জশিটটি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
নোয়াখালী আমলি আদালত-২ এর সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২৭ জুলাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের লোকজন ছয় ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা করে। কিশোর মিলন ওইদিন সকালে চরফকিরা গ্রামের বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিল। পথে চরকাঁকড়া একাডেমি স্কুলের সামনে থেকে একদল লোক তাকেও ডাকাত সন্দেহে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেন।
এসআই আকরামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মিলনকে থানায় না নিয়ে ডাকাত সাজিয়ে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন। এরপর লোকজন নিরপরাধ মিলনকে পুলিশের উপস্থিতিতে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনার কয়েকদিন পর মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও চিত্রে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের খবর গণমাধ্যমে উঠে আসে। এনিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নোয়াখালী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) ওসি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মামলায় তদন্তে ভিডিও চিত্র দেখে হত্যার ঘটনায় শনাক্ত হওয়া ২৭ ব্যক্তি ও চার পুলিশ সদস্যসহ ৩২ জন আসামির সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে নোয়াখালীর-২ আমলি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন।  
পরবর্তীতে মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে সিআইডি কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মেদ চলতি বছরের ৯ মার্চ আদালতে এসআই আকরামসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এর মধ্যে আবদুর রাজ্জাক নামে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ মামলায় সাতজন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।