• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

গুগল ডুডলে স্মরণ প্রথম বাঙালি মুসলিম নারী চিকিৎসককে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২০  

বিশেষ দিন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গুগল সার্চের মূল পাতায় ডুডল প্রকাশ করে আসছে গুগল। আজ গুগলে প্রবেশ করলেই দেখা যাচ্ছে বিশেষ একটি ডুডল। এতে গুগলের অক্ষরগুলোকে সাজানো হয়েছে বিশেষভাবে। যেখানে দেখা যাচ্ছে গায়ে জড়ানো হলুদ রংয়ের একটি পোশাক, গলায় স্টেথসস্কোপ এবং মাথার উপর গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছেন একজন নারী। 

এই নারী হলেন প্রথম বাঙালি মুসলিম নারী চিকিৎ‍সক জোহরা বেগম কাজী। তার জন্মদিন আজ। ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজনান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার স্মরণেই ডুডল করলো গুগল। 

ডা. জোহরা বেগম কাজীর বাবার নাম ডাক্তার কাজী আব্দুস সাত্তার ও মায়ের নাম মোসাম্মদ আঞ্জুমান নেসা। তার আদি পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার গোপালপুর গ্রামে।

১৯৩৫ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করার পর জোহরা বেগম কাজী কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ঢাকা এসে ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে যোগ দেন।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় অবসর সময়ে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অনারারি কর্ণেল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। মিডফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি গাইনোকোলজি বিভাগের প্রধান ও অনারারি প্রফেসর ছিলেন। 

১৯৭৩ সালে চাকরি থেকে অবসর নেবার পর বেশকিছু বছর হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসাবে চিকিৎ‍সা সেবা প্রদান করেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেলে অনারারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক এবং তখমা-ই-পাকিস্তানী অর্জন করেন। ২০০৭ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যু্বরণ করেন ডাক্তার জোহরা বেগম কাজী।