ঘরে ঘরে ঠাণ্ডা কাশি জ্বর
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
কভিড-১৯ বা নভেল করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মুখে অস্থিরতার আড়ালে দেশে দিনে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। সব মিলিয়ে ১০৮ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৩৮৪। মারা গেছে ৬১ জন।
২০১৫ সাল থেকে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যায়, এর আগে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ছিল ২০১৭-১৮ সালে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭ জন। মৌসুমের ওই পাঁচ মাসে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। আর ২০১৫ থেকে গত বছর পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয় তিন লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৯ জন এবং এই চার বছরে মৃত্যু হয় মোট ৮০ জনের। সেই হিসাব ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের মতো এক মৌসুমে এত আক্রান্ত এর আগে কাছাকাছি সময়ে দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ, তাপমাত্রার অস্বাভাবিক তারতম্য ও মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে একই সঙ্গে রোগের জটিলতা ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাকেও দায়ী করছে কেউ কেউ। সরকারি তথ্য অনুসারেই এই মৌসুমি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা চার বছরের যোগফলের দ্বিগুণেরও বেশি। আবার মৃত্যুহারও যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, একদিকে জলবায়ুজনিত তারতম্য অন্যদিকে বায়ুদূষণ এবার রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের রোগ অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতার মাত্রা বাড়ানো খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, শিশু ও বয়স্কদের জটিলতা বেশি দেখা যায়। পরিবারের অন্যদের উচিত তাদের দিকে বেশি নজর রাখা। এ ছাড়া আগে থেকেই যারা ক্রনিক রোগে ভুগছে তাদের ক্ষেত্রেও এমন মৌসুমি রোগের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। জটিলতা বেড়ে গেলে চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ সালে এই তিন ধরনের শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ সাত হাজার ৩৫৯ জন আর ওই বছর মৃত্যু হয় ৩৮ জনের। পরে ২০১৬-১৭ সালে আক্রান্ত হয় ৬১ হাজার ৫৬৪ জন, মারা যায় ১১ জন, ২০১৭-১৮ সালে আক্রান্ত হয় এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭ জন আর মারা যায় ২০ জন, ২০১৮-১৯ সালে আক্রান্ত হয় ৮৬ হাজার ৭৫৯ জন এবং মৃত্যু হয় ১১ জনের।
আর চলতি মৌসুমে গত ১ নভেম্বর থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত ১০৮ দিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৩৮৪ জন এবং মৃত্যু ঘটেছে ৬১ জনের। এর মধ্যে এবার গত ১ নভেম্বর থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৭৬০ জন, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই লাখ ছয় হাজার ৫৬০ জন এবং ঠাণ্ডাজনিত অন্যান্য রোগে দুই লাখ ২৭ হাজার ২৮ জন। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের রোগে মৃত্যু ঘটেছে ২২ জনের, ডায়রিয়ায় ৯ জনের ও অন্যান্য শীতজনিত রোগে ৩০ জনের।
রোগতত্ত্ব বিজ্ঞানী ও আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহামুদুর রহমান বলেন, জলবায়ুর প্রভাব, আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ ও মানুষের রোগ প্রতিরোধমূলক অসচেতনতার কারণে যেমন মৌসুমি রোগের প্রকোপ বাড়ছে, আবার এসব রোগের জটিলতাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থাপনায়ও ঘাটতির বিষয়টি রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সব হাসপাতালে এখনো আমরা সব ধরনের চিকিৎসার সুযোগ পর্যাপ্তভাবে সৃষ্টি করতে পারিনি। অন্যদিকে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে মানুষ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে আসে রোগ জটিল হয়ে ওঠার পরে। অথচ এ ধরনের রোগগুলো প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার আওতায় আনা গেলে সবদিক থেকেই মানুষের সুরক্ষা মেলে। ভোগান্তিও যেমন কমে তেমন মৃত্যু হারও কমানো যায়।
ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, মৌসুমি রোগের পর্যবেক্ষণের ওপরেও জোর দেওয়া জরুরি। তাতে করে এর গতিবিধি এবং পূর্বাপর প্রকোপ কম না বেশি তা নিরূপণ করে করণীয় ঠিক করা সহজ হয়।
শ্বাসতন্ত্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশেদুল হাসান বলেন, দেশে শ্বাসতন্ত্রের রোগের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। চিকিৎসায়ও দেখা দিয়েছে জটিলতা। কিন্তু সেই অনুসারে ব্যবস্থাপনা আরো বেশি প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার তথ্য দিয়ে জানান, ৬৪ জেলা ও ২৯৬টি উপজেলা পর্যায় থেকেও তথ্য আসছে প্রতিদিন। আমরা শীতজনিত রোগের ক্যাটাগরিতে রাখা ওই হিসাব তিনটি ভাগে বিভাজন করি। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়রিয়া ও শীতজনিত আরো অন্যান্য রোগকে হিসাব করা হয়। এতে এবার দেখা গেছে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শীতজনিত রোগে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু অনেক বেশি। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের মার্চ পর্যন্ত এই শীতজনিত রোগের হিসাব সংরক্ষণ করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুসারে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ৫২১ জন।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলায় ৬ আসামি কারাগারে
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ ইট ভাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের হাতে পলাতক দুর্ধর্ষ ডাকাত কালাম গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল স্থাপণ করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী
- মঠবাড়িয়ায় পূর্নবাসনের লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় ৪ টি জাতীয় দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- মঠবাড়িয়ায় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় ৯৮০ টি জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল ও ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- দুই সিটি, ছয় পৌরসহ দুই শতাধিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- চলতি মাসে সম্পন্ন হচ্ছে পিরোজপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কাজ
- মঠবাড়িয়ায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীর মাঝে ঢেউটিন বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার- ৫
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত
- বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে