চীনা অধ্যাপকের জিন-সম্পাদিত শিশু জন্মের দাবি

চীনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দাবি করেছেন, তার তত্ত্বাবধানে জিন-সম্পাদিত দুটি যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে৷ এমন দাবির পর বিশ্ববিদ্যালয়টি এর সমালোচনা করে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে৷

অধ্যাপক জিয়ানকুই দাবি করছেন, সম্পাদনার মাধ্যমে ডিএনএতে পরিবর্তন আনার কারণে এই দুই যমজ শিশুর ভবিষ্যতে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ অথচ তাদের বাবা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি৷ ক্রিসপার/কাস৯ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিএনএ সম্পাদনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে অধ্যাপক জিয়ানকুই এর দাবি সঠিক কিনা তা এখনো যাচাই করে দেখা যায়নি৷ তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে তার কাজের সমালোচনা করেছে৷ তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে তারা৷ অধ্যাপক জিয়ানকুই এর কাজ ‘অ্যাকাডেমিক নৈতিকতা ও নীতিমালার মারাত্মক লঙ্ঘন বলে ওই বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিনা বেতনে ছুটিতে ছিলেন অধ্যাপক জিয়ানকুই৷

চীনের প্রায় ১০০ বিজ্ঞানীও এক যৌথ বিবৃতিতে অধ্যাপক জিয়ানকুই এর কাজের সমালোচনা করেছেন৷ ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ ঠেকাতে আরো শক্ত সরকারি নীতিমালা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তারা৷ ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জিনতত্ত্বের অধ্যাপক জয়েস হার্পার এই গবেষণাকে বিপজ্জনক বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ জিন সম্পাদনার মাধ্যমে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রোগ ঠিক করা যায়৷ তবে প্রক্রিয়াটি বিতর্কিত৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রে শুধু গবেষণাগারে এই কাজ করার অনুমতি রয়েছে৷