• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বাবরি মসজিদের রায়

জমি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ২৬ নভেম্বর

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯  

ভারতের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে দেশটির শীর্ষ আদালতের দেয়া রায় সে দেশের অধিকাংশ মুসলিম মেনে নিলেও, বড় একটি অংশের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যদিও আদালতের রায় মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’। তবে ভিন্ন মত ছিল ‘মুসলিম ল বোর্ড’র। তারা রিভিউ পিটিশনের দিকে আগানোর বার্তা দিয়েছেন।

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য আদালত অন্যত্র ৫ একর জমি দেয়ার যে প্রস্তাব করেছে তা নেয়ার ব্যাপারে আগামী ২৬ নভেম্বর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’।

আর দানের জমি মুসলমানদের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এমপি।

এদিকে, শুধু জমি নয় মন্দির নির্মাণের জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণ ট্রাস্টও গঠন করতে হবে বলে কেন্দ্রকে জানিয়েছেন সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতি।

অযোধ্যার এই বহু আলোচিত রায়ের পর ‘সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড’র চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ ফারুকি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “জমি নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে আমি বিভিন্ন মতামত পাচ্ছি। আগামী ২৬ নভেম্বর বোর্ডের সাধারণ সভা। আশা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে ৫ একর জমি নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ফারুকি আরও বলেন, “বৈঠকটি  ১৩  নভেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও, তা স্থগিত করা হয়েছে। ওই জমি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য আসছে। তবে আমি মনে করি ইতিবাচকতাকে সঙ্গে নিয়েই জিততে পারে নেতিবাচকতা।”

অযোধ্যা ইস্যু সমাধানে তিনি মধ্যস্থতার পক্ষে ছিলেন উল্লেখ বলেন, “যদিও মধ্যস্থতা অসফল হয়েছে, তবু আমার মত পরিষ্কার। বেশ কিছু ব্যক্তি পরামর্শ দিয়েছেন যে জমিটি ওয়াকফ বোর্ডের নেওয়া উচিত এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গঠন করা উচিত, যেখানে একটি মসজিদও নির্মাণ করা যেতে পারে।” তবে অযোধ্যা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড চ্যালেঞ্জ করবে না বলে জানান তিনি।

এদিকে, কোনো মধ্যস্থতা নয় রায়ের বিরুদ্ধে পিটিশনের দিকে এগোচ্ছে ‘মুসলিম ল বোর্ড’। বোর্ডের নেতারা জানান, এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। উভয়েরই বক্তব্য, বিতর্কটা ছিল মসজিদ নিয়ে। বিকল্প জমির সমাধান নয়। তাই, ‘মুসলিম ল বোর্ড’ আগামী দিনে রায় পর্যালোচনার আবেদন জানানোর কথা ভাবছে।

আর রায়ে তথ্যকে হারিয়ে বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে জানিয়ে মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের ব্যবহার করেছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। এই রায় সৌভ্রাতৃত্বের নয়।’