জুম্মার দিনে দান-সদকায় বেশি সওয়াব
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২০
সপ্তাহের সেরা দিন শুক্রবার তথা জুম্মার দিন। এটি পৃথিবীর অন্যতম তাৎপর্যবহ দিবস। জুম্মা নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরা আছে। এইদিনে মহান আল্লাহ তায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন।
ইসলামের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা প্রবাহ এই দিনে হওয়ায় জুম্মার দিনের গুরুত্ব প্রতিটি মুসলমানদের নিকট অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ও রাসুল (সাঃ) তার বাণীতে দিনটির ফজিলত সম্পর্কেও বলেছেন। ফলে জুম্মার দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা।
দিনটির গুরুত্ব বিবেচনা করে অধিক সওয়াবের আশায় এ দিনে অনেকে বেশি বেশি দান খয়রাত করে থাকেন। দানের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। তবে কি জুমার দিনে দান খয়রাতে বেশি সওয়াব রয়েছে? প্রকৃত কথা হলো, ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই। একমাত্র রমজান মাস ছাড়া অন্য কোনো দিনে দান খয়রাতের বিশেষ কোনো ফযিলত ইসলামে দেয়া হয়নি।
তবে দুস্থ, নিঃস্ব, গরিব, এতিম, মিসকিন, আশ্রয়হীন, পঙ্গু, বস্তিবাসী, অন্ধ, অসহায়দের দুঃখ-কষ্ট মোচনে সাহায্য-সহযোগিতায় দান-খয়রাত ও সেবা-যত্ন করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘তোমরা যে পর্যন্ত না নিজেদের প্রিয় বস্তু দান-খয়রাত করবে, সে পর্যন্ত কোনো সওয়াব পাবে না।’ এ ছাড়া আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে আরও বলেছেন, যে বা যারা অঢেল ধন-সম্পদ, অর্থ সঞ্চয় করছে তারা যেন দুনিয়া ত্যাগ করার আগেই আল্লাহর নামে ‘ফি সাবিলিল্লাহ’ দান-খয়রাত করে যেতে থাকে।’
শুধু তাই নয়, আমাদের মহানবী মুহাম্মদের (সা.) কাছে কেউ কিছু চাইলে তার কাছে যা থাকত তা-ই দান করে দিতেন। নিজে অসমর্থ হলে অন্য কারও কাছ থেকে ধারকর্জ করে হলেও দানপ্রার্থীকে দিয়ে দিতেন।
শুধু তাই নয়; নিজের অতি প্রয়োজনকে তুচ্ছ মনে করে পরিবার-পরিজনসহ অভুক্ত রেখেও গরিব, এতিম, মিসকিন, অসহায়-অভাবী মানুষকে আহার করাতেন। আল্লাহর প্রিয় নবীর (সা.) দান-খয়রাত ছিল বিশ্বব্যাপী মানবতার সেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আবু দাউদ শরিফে উল্লেখ আছে, একবার হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তার সাহাবিদের নিয়ে ওহুদ পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। পাহাড়টি দেখে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমার সামর্থ্য থাকলে গরিব-দুঃখী, এতিম, অভাবী, অসহায় মানুষকে এই পাহাড়সম স্বর্ণ দান করে দিতাম।’
আল্লাহর প্রিয় হাবিব মুহাম্মদের (সা.) এমনই ছিল দান-খয়রাতের আদর্শ। দান-খয়রাতের ফজিলত ও মরতবা সম্পর্কে পবিত্র কোরআন-হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি নিতান্ত অভাবের তাড়নায় কারও কাছে চাইলে তাকে ধমক দেওয়া হলে অন্তরে চোট লাগে এবং কষ্ট পেয়ে চোখ দিয়ে দরদরিয়ে পানি ঝরে, এমন কথা বা মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য সুস্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেছেন, তুমি দানপ্রার্থীকে ধমক দিও না। শুধু এ কথা বলেই আল্লাহতায়ালা ক্ষান্ত হননি। তিনি তার স্বীয় কালামে আবারও ঘোষণা করেছেনথ কোনো কিছু দানপ্রার্থীকে দান বা খয়রাত দেওয়া হোক বা না হোক কোনো প্রকার কষ্টদায়ক কথা বলার চেয়ে একটি মিষ্টি-মধুর কথা বলাই উত্তম।
আল্লাহতায়ালার ওই বাণীতে স্পষ্টতই বোঝা যায়, অভাব-অভিযোগের তাড়নায় যারা এসেছে তারাও আমাদের মতো রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ। তাদেরও ক্ষুধা রয়েছে, চাহিদা রয়েছে। এ জন্য মানুষের জন্য মানুষের অন্তর কাঁদা উচিত। মাত্র কিছুকালের এ দুনিয়ায় অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ে কী লাভ? নিজের জন্য সামান্য কিছু রেখে পরের তরে বিলিয়ে দিয়ে পরকালীন জীবনে সুখ-শান্তি এবং নাজাতপ্রাপ্ত হন।
এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে আবারও ইরশাদ করেছেন ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা কোনো দানগ্রহীতাকে কোনোরূপ খোঁটা বা কষ্ট দিয়ে তোমাদের দান-খয়রাত ও সাহায্য-সেবাকে বরবাদ করে দিও না।’ এখানে একটু বলা প্রয়োজন, ‘ডান হাতে দান করলে বাম হাতও যেন না জানে’এটি পবিত্র ইসলামেরই নির্দেশ। দানশীলতা মানব চরিত্রের মহৎ গুণ, যা মানুষের হৃদয়কে কৃপণতার অভিশাপ থেকে মুক্ত ও সতেজ রাখে।
এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা আরও বলেছেন, ‘যাদের মন-দিল কৃপণতা হতে মুক্ত, তারাই হবে সত্যিকার সাফল্যমণ্ডিত।
উল্লেখ্য, দান-খয়রাতের ক্ষেত্রে সমাজের অনেকেই নিজেদের ব্যবহৃত অকেজো-অযোগ্য পুরনো জিনিসপত্র দান-খয়রাত করে নিজেদের দাতা হিসেবে নাম জাহিরের অপচেষ্টা চালায়। এতে সওয়াবপ্রাপ্ত হওয়া দূরের কথা, এতে দান-খয়রাত, সাহায্য-সেবার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করা হয়।
দান পরকালের কঠিন সময়ে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করে, ইহকালে প্রাচুর্যময় ও দুশ্চিন্তাহীন মর্যাদাপূর্ণ জীবন উপহার দেয়। আল্লাহ প্রদত্ত ধন-সম্পদ অভাবী ও অসহায় মানুষের জন্য ব্যয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ জনকল্যাণমূলক কাজে সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ অনেক সওয়াবের কাজ। এসব খাতে অর্থ-সম্পদ দানের মন-মানসিকতা গড়ে তোলা দরকার।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের নতুন তালিকা প্রকাশ করলো ফোর্বস
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?