• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ডেঙ্গু রোগীর পানিশূন্যতা রোধ জরুরি: কলকাতার বিশেষজ্ঞ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০১৯  



ডায়রিয়ার ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা বোঝা গেলেও ডেঙ্গুর পানিশূন্য কিন্তু চট করে বোঝা যায় না। তাই এ বিষয়ে চিকিৎসককে সজাগ থাকতে হবে। পানিশূন্যতা নিয়ন্ত্রণ হলে ডেঙ্গু অনেকটাই রোগীর শরীর থেকে কমানো যায়। বাড়িতে থেকেও চিকিৎসা করা যায়।

সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে কলকাতা সিটি করপোরেশনের অফিসে বিশেষজ্ঞ দল ও ঢাকা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হন।
ডেঙ্গু নিধনে দু’দেশের এ ভিডিও কনফারেন্সে কলকাতার বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন মুখ্য উপদেষ্টা ডক্টর তপন কুমার মুখোপাধ্যায়, কলকাতা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর মনিরুল ইসলাম, উপ-স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. সুব্রত রায়চৌধুরী ও চিফ ডিরেক্টর কন্ট্রোল অফিসার ড. দেবাশীষ বিশ্বাস।

এছাড়া কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান ভিডিও কনফারেন্স উপস্থিত আছেন। 

কলকাতা স্বাস্থ্য বিভাগের উপদেষ্টা ডক্টর স্বপন মুখার্জি বলেন, ডাবের পানি, ফলের রস, ঘন ঘন পানি খেতে হবে। দেখতে হবে সেই রোগী তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর স্বচ্ছ প্রস্রাব করছে কিনা। তাহলে ধরে নিতে হবে সেই রোগীর ডেঙ্গু ততটা প্রকট নয়। 

তিনি বলেন, শীতকালেও কাজ করতে হবে ডেঙ্গু নিয়ে। কারণ ডেঙ্গু বহনকারী মশা পানি ছাড়া যে কোনো স্যাঁতস্যাঁতে যদি জায়গায় ডিম পাড়ে তাহলে সে ডিম তিন বছর জীবিত থাকবে। বর্ষার মৌসুম না থাকলেও স্যাঁতস্যাঁতে বাড়িতে পানির ছোঁয়া পেলে ডিম জেগে উঠবে।

‘কলকাতার গড়ে ওয়ার্ডভিত্তিক বাস করেন ৫০ হাজার মানুষ। এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের প্রধান কাজ হলো সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৫টা অব্দি মশার তেল বা লিকুইড তেল ব্যবহার করা উচিত যাতে মশা না কামড়ায়। আর পরিষ্কার পানি জমতে দেওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর মূল চিকিৎসা কী? সারা বিশ্বে ডেঙ্গুর সেরকম কোনো চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন নেই। এর মূল চিকিৎসা প্যারাসিটামল। শরীরের প্রতিকেজি ওজন অনুযায়ী ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল রোগীকে দিতে হবে। এটাই অনেকই কমবেশি করে ফেলি। তবে ব্রুফেন টাইপের কোনো ওষুধ দেওয়া চলবে না।

‘এছাড়া আরেকটা জিনিস ভালো করে বুঝে নিতে হবে, ইংরেজিতে ডেঙ্গুর অক্ষর ডি এরকম D অক্ষরের আর একটি রোগ আছে। নাম ডায়রিয়া। আর এই দুটো রোগেই ডিহাইড্রেশন বড় সমস্যা।’

জটিল ডেঙ্গু রোগী কাকে বলা হয়? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে রোগীর গাঁটে গাঁটে ব্যথা ধরবে, জ্বর থাকবে, প্রেসার কুড়ি শতাংশ করে কমতে থাকবে, প্লাটিলেট ২০ হাজারের নিচে নেমে যাবে, কোমরের কাছে ২০ থেকে ২২টা রক্তের ছোপ বা চিহ্ন দেখা যাবে তাহলে সেই রোগীকে অবিলম্বে হসপিটালে ভর্তি করা উচিত।