• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ঢাকা-১৮ নির্বাচন: জাহাঙ্গীরের সাথে প্রতারণা করছেন বিএনপি নেতারা!

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২০  

প্রবাদ আছে, ‘রসুনের সব কোয়া একসাথে থাকে’। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে এই তথ্য পুরোপুরি উল্টো ঘটে। বিশেষ করে নির্বাচন এলেই বিএনপির অভ্যন্তরে কোন্দল সৃষ্টি হয়, বিভেদের কারণে সংঘাতের ঘটনাও ঘটে। তেমনটাই ঘটছে ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে। জানা গেছে, নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পাশে গুটিকয়েক নেতা থাকলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অধিকাংশ সদস্যই মাঠে নেই। ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির বেশিরভাগ নেতা এখন ভার্চুয়ালি দিকনির্দেশনা দিয়ে কোনো মতো দায়িত্ব পালন করছেন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পরাজয় নিশ্চিত বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন খোদ বিএনপির সমর্থকরাই।

জানা গেছে, ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীরকে নিয়ে শুরু থেকেই দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ ছিলো। এর পরিণামও ভোগ করতে হয়েছে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে। বিক্ষুব্ধরা তার ঢাকার বাসায় ইট-পাটকেল ও ডিম ছুঁড়ে মেরেছেন। কিন্তু মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরও ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কৌশলে পালিয়ে বেড়ানোয় প্রার্থীর বিজয় নিয়ে শঙ্কিত খোদ হাইকমান্ডও। পরিচালনা কমিটির দেখাদেখি স্থানীয় নেতারাও কৌশলে নির্বাচনী গণসংযোগ থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন। ফলে উত্তরার বাইরে থেকে কিছু নেতাকর্মীকে এনে মাঠে রয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর। দলীয় কোন্দলে গণসংযোগে ধারাবাহিকভাবে হামলা হলেও সরকারি দলের ওপরে দোষ চাপাচ্ছেন বরাবরের মতোই। স্থানীয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ও বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচনী শোডাউন করছেন এসএম জাহাঙ্গীর। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে প্রথম দুইদিন বড় শোডাউন করতে পারলেও এখন প্রার্থীর প্রধান কার্যালয়ের আশপাশেই থাকতে হচ্ছে প্রার্থীকে। মূলত বিক্ষুব্ধ নেতাদের রোষানলে পড়ার শঙ্কায় গণসংযোগ কর্মসূচি এড়িয়ে চলছেন জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি এই আসনে বিএনপির থানা পর্যায়ের নেতারাও শুরুর দিকে সক্রিয় থাকলেও এখন অনেকটা নিষ্ক্রিয়।

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি এখনও এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। কোন্দল, বিভেদ দূর করে এক ছাতার নিচে আসতে পারেননি দলটির কর্মীরাও। বিষয়টি বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীরও টের পেয়েছেন। তবে এই আসনে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা না থাকায় বিএনপি কর্মীদের মাঝে তিনি সাড়া ফেলতে পারছেন না। এই অবস্থা বিরাজমান থাকলে উক্ত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় ঘটবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।