• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

দেশে লবণের মজুত ১০ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০  

দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের মোট চাহিদা ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। এ বছরের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত মাঠ ও মিলে মোট ১০ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুত রয়েছে। এছাড়া সব জেলার ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়েও আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুত ও মূল্য সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি (২০১৯-২০) লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে।

২০১৮-১৯ লবণ মৌসুমে এ সময় লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে মোট নিবন্ধিত লবণ মিলের সংখ্যা ২৭০। এর মধ্যে করোনা প্রভাবের পূর্বে ১৮০ মিল চালু ছিল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ১৭০টি মিল চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ স্বল্প পরিসরে চালু রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে ৭৩ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ ও ৫৫ হাজার ২৬ মেট্রিক টন আয়োডিনবিহীন শিল্প লবণ উৎপাদিত হয়েছে। করোনার প্রভাবে বর্তমানে শিল্প লবণের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে মাঠে লবণ উৎপাদন, মিলে প্রক্রিয়াজাত ও আয়োডিনযুক্তকরণ ও বাজারজাতকরণে বিসিক বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ লবণ মিলসমূহ চালু রাখার জন্য বিসিকের পক্ষ হতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন নিরবচ্ছিন্নভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রাখতে চাহিদা অনুযায়ী লবণ মিলগুলোতে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ করা হচ্ছে।

এছাড়া, বিসিকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে মাঠে লবণ উৎপাদন, মিলে লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আয়োডিনযুক্তকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানসহ নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লবণ চাষীদের নিয়মিত আবহাওয়া সংবাদ প্রদান, লবণ উৎপাদন ও মজুদ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান, ক্রুড লবণ বাজারজাতকরণের জন্য লবণ চাষী ও মিলারদেব সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। এছাড়া লবণ মিলে শিল্প ও আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, বিক্রি, মজুদ ও মূল্য সম্পর্কিত নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে তা বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।