• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

দ্রুত এগিয়ে চলেছে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কাজ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৯  

চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি- টু টাউন ধারণাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে চলছে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণ কাজ। এখন পর্যন্ত টানেলের ৪৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি চালু হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে।

চট্টগ্রামে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে নদীর তলদেশ দিয়ে দেশের একমাত্র টানেল নির্মাণ কাজ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। টানেলের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৪শো ৪৭ কোটি টাকা। ৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের ৪শ ৪০ মিটার ইতোমধ্যে বোরিং মেশিনের মাধ্যমে খনন করে রিং বসানো হয়েছে। আর পতেঙ্গা প্রান্তে মাটির নিচে প্রতিদিনই চলছে খনন কাজ। টানেল নির্মাণের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ এগিয়ে চলেছে বলে জানালেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এ কর্মকর্তা।

বঙ্গবন্ধু টানেলের উপ প্রকল্প পরিচালক ড. অনুপম সাহা বলেন, 'টানেল নির্মাণে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও এখানে যারা বিদেশী কারগরি কাজ হচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে প্রতিটি স্তরে সতর্কতার সঙ্গে আমরা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।'

কর্ণফুলী টানেল দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। এছাড়া মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে বলে অভিমত ব্যবসায়ীদের।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, 'পাওয়ারের হাব হচ্ছে ,মাতারবাড়িতে ডিপ সি পোর্ট হচ্ছে সব কিছু মিলে এই টানেলের গুরুত্ব অপরিসীম। এই টানেলের মাধ্যমে আমরা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই কানেকটিভিটি গুলো ব্যবহার করতে পারবো।'

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, 'পর্যটনের বড় ধরনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। বড় বড় হোটেল রিসোর্ট হবে।'

এদিকে, এখন পর্যন্ত টানেলের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি  বলেন, 'টানেলের কাজ এরই মধ্যে ৪৯ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। টানেল নির্মাণ হলে চট্টগ্রামের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।'

চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে টানেলের নির্মাণ কাজ করছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।