• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ধান কাটার নামে ছাত্রদল নেতাদের চাঁদাবাজি অব্যাহত

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২০  

দেশে উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার যখন নিরলসভাবে কাজ করছে, তখন বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একের পর এক অপকর্ম করে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ধান কেটে দেয়ার নামে অসহায় কৃষকের কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, ন্যূনতম মানবিকতা থাকলে করোনার এই দুর্যোগময় সময়ে ছাত্রদল নেতারা এমন আচরণ করতেন না। এ থেকেই বোঝা যায়, তারা কতোটা প্রবঞ্চনার রাজনীতি করেন।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনার এই সময়ে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকদের ধান কেটে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তাদের এ কার্যক্রমে সর্বস্তরের মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাই ছাত্রলীগের প্রশংসিত এই উদ্যোগকে অনুকরণ করতে ছাত্রদল নেতাদের নির্দেশ দেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নির্দেশনা মোতাবেক নেতাকর্মীরা মাঠে ধান কাটার নামে গেলেও তারা সেখানে বসে জুয়া খেলা, রোজার ভেতরেও প্রকাশ্যে বসে চা-সিগারেট খাওয়া, কৃষকের কাছে চাঁদা দাবি ও না দিলে মারধরের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছেন।

রোববার (১৭ মে) সকালে চিলমারীর থানাহাট ইউনিয়নের ব্যাপারীর বাজার এলাকায় ঘটা ঘটনা, তেমনই একটি উদাহরণ। এদিন ছাত্রদলের চিলমারী ডিগ্রি কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন আলম মুকুলের নেতৃত্বে ১১ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী থানাহাট ইউনিয়নের ব্যাপারীর বাজার এলাকায় ধান কাটতে যায়। জমির কিছুটা ধান কাটার পর তারা পারিশ্রমিক দাবি করে ওই অসহায় কৃষকের কাছে। এসময় তিনি পারিশ্রমিক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে বেদম মারধর করে ছাত্রদলের কর্মীরা। পরে কৃষকের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসীরা ছুটে এলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হয় ছাত্রদলের চিলমারী ডিগ্রি কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন আলম মুকুলের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রদলের কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে ওই কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। তবে ফেরার পথে ইফতারের জন্য ওই কৃষক টাকা দিতে চাইলে কর্মীদের সঙ্গে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়, এর বাইরে কিছু হয়নি।