• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ধান বেচাকেনার অ্যাপে বাড়ছে কৃষকের আগ্রহ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে ন্যায্য দামে ধান বিক্রির জন্য ব্যাপক সাড়া দিয়েছে যশোরের কৃষকরা। সরকারের নির্ধারিত সময়ে সাড়ে ছয় হাজার কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে অর্ধেক কৃষক চূড়ান্ত করবে কৃষি বিভাগ।

আমন মৌসুমে এক হাজার ৪০ টাকা মণ হিসেবে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার। এ ধান সংগ্রহে যশোরসহ ১৬ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়। যশোর থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দুই হাজার ৮২৬ মেট্রিকটন। 

যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লিয়াকত আলী জানান, যশোর সদরের কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমেই সব ধান কেনা হবে। এজন্য নিবন্ধন শেষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকের আবেদন যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এরপর নির্ধারিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। 

যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, প্রতি মণ এক হাজার ৪০ টাকা হিসেবে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের জন্য সরকার এবার পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। আমন ধান সংগ্রহ করতে যশোর সদরে অ্যাপের মাধ্যমে ২৫ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম করা হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষি বিভাগ আবেদন যাচাই বাছাই করে অটোমেটিক পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কৃষক চূড়ান্ত করবে। 

খালিদ সাইফুল্লাহ আরো জানান, নির্ধারিত সময়ে যশোর সদরের সাড়ে ছয় হাজার কৃষক অ্যাপে নিবন্ধন করেছে। যে ইউপিতে যেমন ধান চাষ ও চাষি রয়েছে; সেখান থেকে সেই পরিমাণ ধান সংগ্রহ করা হবে। 

তিনি বলেন, পদ্ধতিটি নতুন। তাই কৃষককে বিশ্বাস করানোটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমরা কৃষক প্রতি এক মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের কথা ভাবছি। এতে দুই হাজার ৮২৬ চাষির কাছ থেকে ধান নেয়া সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রদ্ধতিটি নতুন হওয়ায় তারা চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু যথেষ্ট সাড়া পড়েছে। অ্যাপ্’র মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে চাষিদের আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগ বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দিনরাত কৃষককে বুঝিয়েছেন। ইউপিগুলোতে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কৃষক প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। কৃষকদের কাছে কাছে গিয়ে জানানো হচ্ছে। ইউপি তথ্যকেন্দ্রগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রকৃত কৃষকরা যাতে নিবন্ধন করে আমন ধান সরবরাহ করতে পারেন যে জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া হয়।

যশোরের চুড়ামনকাটি ইউপির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, একেবারে নতুন এই পদ্ধতি সফল করতে তারা কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছেন। এজন্য কৃষক ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। আশা করছি প্রান্তিক প্রকৃত কৃষক ধান বিক্রি করতে পারবে।