• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

না খেয়ে থেকে ওজন কমানোর পরিণতি জানেন কি?

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০১৯  

বাড়তি ওজন অধিকাংশের কাছেই উটকো ঝামেলা। অতিরিক্ত ওজনকে উপভোগ করেন, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন বলা চলে। ঝরঝরে, ফিট শরীর পাওয়ার স্বপ্ন অধিকাংশের। বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে তাই চেষ্টার অন্ত নেই। তবে ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই খিদে থাকা সত্ত্বেও না খেয়ে থাকেন। বিপত্তিটা বাধে সেখানেই।

ওজন কমানো মানেই না খেয়ে থাকা নয়। আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে শরীরকে ফিট রাখা আর না খেয়ে থাকা এক ব্যাপার নয়। না খেয়ে থাকার মাধ্যমে মূলত শরীরের প্রতি অত্যাচার করা হয়, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বেছে নেওয়া হয়। শরীরকে সচল রাখার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় ক্যালরি ও শক্তি থাকা চাই। 

চলুন, জেনে নেওয়া যাক না খেয়ে ওজন কমাতে চাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো—

পুষ্টিহীনতা

যখন আমরা না খেয়ে থাকি, সেটি আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যার মাশুল বেশ ভালোভাবেই দিতে হয় আমাদের শরীরকে।

স্মৃতিশক্তি হারানো

খাদ্যসূচি ঠিকঠাক অনুসরণ না করলে তা স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে। এটি আমাদের স্মৃতিশক্তিকে দুর্বল করে দেয় এবং সহজেই অনেক কিছু ভুলিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আমাদের প্রয়োজনীয় ফ্যাট ও ক্যালরির প্রয়োজন।

চুল পড়া

পুষ্টিহীনতার কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে চুল পড়ে যায়। না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টার ফলে অনেকেই তাঁদের প্রিয় চুলগুলো হারিয়ে ফেলেন। এতে চুল আরো সরু হয়ে যায় ও বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে ফেলে।

শক্তির অভাব

কিছু না করলেও আমাদের শরীর ক্লান্তি অনুভব করে। ঠিকঠাক না খেলে একসময় আমরা নিজেদের শক্তিহীন অনুভব করি। তাই আমাদের উচিত স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা।

ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া

আপনি মোটেই সারা দিন আপনার পাকস্থলীকে অভুক্ত রাখতে পারবেন না। তাই যখন আপনি খাওয়া শুরু করবেন, আপনার শরীর অধিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করতে চাইবে। এভাবে চলতে থাকলে ওজন কমার বদলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে।

স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থভাবে বাঁচতে আমাদের অবশ্যই কাজ করতে হবে এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় হতে হবে।

আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে হাঁটুন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান। কোনোভাবেই সকালের নাশতা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এটি আমাদের অতিরিক্ত চর্বি ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে। চিনিজাতীয় ও তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে যান। সেইসঙ্গে ধর্মীয় প্রার্থনায় মনোযোগ দিন। এতে আপনি আরো সতেজ ও সজীব থাকবেন।