• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

নাইজেরিয়ানদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহকারী ৩ প্রতারক গ্রেফতার

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২০  

ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে উপহার দেয়ার নামে নাইজেরিয়ান প্রতারকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহকারী চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের থেকে বিভিন্ন নামে ৪৮টি চেক বই, ১৮৫টি চেকের পাতা, চারটি মোবাইল ও একটি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে। এরা হলো- মূলহোতা মো. কায়েস হোসেন, সুজন মাঝি (২৮) ও শাহিদা খাতুন (২৫)।

রোববার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি’র সাইবার পুলিশের সিনিয়র পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ।

তিনি জানান, ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে গিফট পাঠানোর কথা বলে বাংলাদেশে অবস্থান করা নাইজেরিয়ার কিছু নাগরিকের সঙ্গে দেশের কিছু নারী-পুরুষ বড় অংকের অর্থ হতিয়ে নিচ্ছিল দীর্ঘদিন থেকে। তিনটি ধাপে এরা এই অপকর্ম করে আসছিল।

প্রথম ধাপে নাইজেরিয়ার নাগরিকরা ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে এক পর্যায়ে তারা বন্ধুর জন্য গিফট পাঠিয়েছে বলে জানায়। দ্বিতীয় ধাপে প্রতারক চক্রের বাংলাদেশি নারী নিজেকে কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে ভিকটিমকে বলতো আপনার নামে দামি গিফট এসেছে। এ জন্য শুল্ক পরিশোধ করতে হবে, না হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেইসঙ্গে প্রতারক ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয় ভিকটিমকে। পরে ভিকটিম ওই অ্যাকাউন্টে তাদের দাবি অনুযায়ী অর্থ পাঠিয়ে দিলে প্রতারক চক্রটি সেই টাকা হাতিয়ে নেয়। তৃতীয় ধাপে প্রতারক চক্রের আরেক গ্রুপ সংগ্রহ করতো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর।

এর আগে সিআইডি’র সাইবার পুলিশ প্রতারক চক্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের প্রতারকদের গ্রেফতার করেছিল। তৃতীয় ধাপের গ্রেফতার প্রতারকদের কাজ সম্পর্কে সিনিয়র পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ জানান, এরা বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর সংগ্রহ করতো। বড় অংকের অর্থের লেনদেনের ক্ষেত্রে তারা অ্যাকাউন্টধারীদের প্রলোভন দেখাতো, ব্যাংকে টাকা এলে তার ৫ শতাংশ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের দেয়া হবে। তাদের ফাঁদে পা দিলে প্রতারক চক্রটি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের থেকে চেক বইয়ের সাইন করা পাতা ও চেক বই নিয়ে নিতো।

এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ভিকটিম ওইসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা টাকা উঠিয়ে ফেলতো। এ জন্য তৃতীয় ধাপের প্রতারক চক্রটি পেত ৫ শতাংশ, আর অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে দিতো ৫ শতাংশ টাকা।