• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

নির্বাচন এলেই বিভেদে জড়ায় বিএনপি নেতারা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২০  

যেকোনো নির্বাচন এলেই বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল জোড়ালা হয়। বিভেদের জেরে সংঘাতে জড়িয়ে রক্তারক্তির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সম্প্রতি ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও ঘটছে একই ঘটনা। 

জানা গেছে, উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পাশে গুটি কয়েক নেতা থাকলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অধিকাংশ সদস্যই মাঠে নেই। ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির বেশিরভাগ নেতা এখন ভার্চুয়ালি দিক নির্দেশনা দিয়েই দায় সারছেন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পরাজয় নিশ্চিত বলে শঙ্কা করছেন খোদ বিএনপি সমর্থকরাই।

দলীয় সূত্র মতে, ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীরকে নিয়ে শুরু থেকেই দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ ছিল। এর পরিণামও ভোগ করতে হয়েছে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে। তাকে মনোনয়ন দেয়ার পর বিক্ষুব্ধরা তার ঢাকার বাসায় ইট-পাটকেল ও ডিম ছুঁড়ে মেরেছেন। এদিকে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও  এসএম জাহাঙ্গীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা বলেন, পরিচালনা কমিটির দেখাদেখি স্থানীয় নেতারাও কৌশলে নির্বাচনী গণসংযোগ থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন। ফলে উত্তরার বাইরে থেকে কিছু নেতা-কর্মীকে এনে মাঠে রয়েছেন এসএম জাহাঙ্গীর। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গণসংযোগে ধারাবাহিকভাবে হামলার ঘটনাও ঘটছে। 

তিনি বলেন, স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ও বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচনী শোডাউন করছেন বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর প্রথম দুদিন বড় শোডাউন করতে পারলেও এখন প্রার্থীর প্রধান কার্যালয়ের আশপাশেই তারা অবস্থান করছে। মূলত বিক্ষুব্ধ নেতাদের রোষানলে পড়ার শঙ্কায় গণসংযোগ কর্মসূচি এড়িয়ে চলছেন জাহাঙ্গীরের সমর্থকেরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি এই আসনে বিএনপির থানা পর্যায়ের নেতারা শুরুর দিকে সক্রিয় থাকলেও এখন অনেকটা নিষ্ক্রিয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি এখনো এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। কোন্দল-বিভেদ দূর করে এক ছাতার নিচে আসতে পারেননি কর্মীরা। বিষয়টি বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীরও টের পেয়েছেন। তবে এই আসনে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা না থাকায় বিএনপি কর্মীদের মাঝে তিনি সাড়া ফেলতে পারছেন না। এই অবস্থা বিরাজ থাকলে উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় ঘটবে বলেও মনে করছেন তিনি।